বেশ ব্যস্ত সূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। বাংলাদেশ ও ভারতের সঙ্গে সিরিজের আগে তারা শ্রীলঙ্কায় সিরিজ খেলতে গিয়েছে। চোটের কারণে লেগস্পিনার রশিদ খানকে ছাড়াই প্রথম ওয়ানডেতে নেমেছিল আফগানিস্তান। তবে ব্যাট-বলে ভারসাম্যপূর্ণ আফগানদের তাতে কোনো বেগ পেতে হয়নি। ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানের অল্পের জন্য সেঞ্চুরি (৯৮) হাতছাড়া করা ইনিংসে লঙ্কানদের দেওয়া ২৬৯ রান সহজেই পেরিয়ে গেছে সফরকারীরা। দাসুন শানাকার দলকে তারা ৬ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে।

আজ (২ জুন) হাম্বানটোটায় টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমেছিল স্বাগতিকরা। মাত্র ৬ রানেই প্রথম উইকেট হারিয়ে তারা রীতিমতো ধুঁকছিল। এভাবে ৮৪ রান তুলতেই তাদের ৪ টপঅর্ডার ব্যাটার বিদায় নেয়। এদিন রশিদের অভাবটা খুব বেশি টের পেতে দেননি আফগান বোলাররা। নতুন বলে যথারীতি আফগানদের হয়ে কাজটা করছেন পেসার ফজল হক ফারুকি।

দুই বছর পর দলে ফেরা দিমুথ করুনারত্নের পর কুশল মেন্ডিসকেও ফেরান এই পেসার। এছাড়া অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসও বড় রান পাননি। ফরিদ আহমেদের বলে তিনি ফেরার আগে করেন ২১ বলে ১২ রান।

আরও পড়ুন >> আইপিএল জিতেই জায়গা পেলেন লঙ্কান দলে, ফিরলেন করুণারত্নেও

পরবর্তীতে শ্রীলঙ্কাকে পথ দেখানোর চেষ্টা করেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও চারিত আসালাঙ্কা। দুই মিডলঅর্ডারের ব্যাটে পঞ্চম উইকেটে গড়ে ৯৯ রানের জুটি। শুরুতে কিছুটা নড়বড়ে থাকা আসালাঙ্কাই লঙ্কানদের ইনিংস টেনে নেন। ইনিংসের শেষ ওভারে রানআউট হওয়ার আগে করেন ৯৫ বলে ৯১ রান। তবে ধনঞ্জয়া ৫১ রানে আউট হওয়ার পর আসালাঙ্কাকে কেউ আর যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি। অধিনায়ক দাসুন শানাকা করেন ১৭ রান। ৫ রানের ব্যবধানে লঙ্কানরা তাদের শেষ ৪ উইকেট হারিয়েছে। আফগানদের হয়ে ফরিদ আহমেদ ও ফজলহক ফারুকি নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। এছাড়া বাকি বোলাররা একটি করে উইকেট নেন।

লঙ্কানদের মাঝারি পুঁজির জবাবে ব্যাট করতে নেমে ব্যক্তিগত ১৪ রানেই আউট হয়ে যান রহমানউল্লাহ গুরবাজ। এরপর ৩ নম্বরে নামা রহমত শাহকে সঙ্গে নিয়ে ১৪৬ রানের জুটি গড়েন ওপেনার ইব্রাহিম। এ জুটিই মূলত আফগানদের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাট করে ৩৫ বলেই ফিফটি করা ইব্রাহিম আউট হয়েছেন সেঞ্চুরি থেকে ২ রান দূরে থাকতে।

ইব্রাহিম ৯৮ রানে কাসুন রাজিথার বলে ডিপ মিড উইকেটে ধরা পড়েন। রহমত করেন ৫৫ রান। এরপর অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ ৩৮ আর মোহাম্মদ নবীর ২৭ রানে তাদের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। লঙ্কানদের হয়ে রাজিথা দুটি উইকেট নেন। এছাড়া লাহিরু কুমারা এবং মাথিশা পাথিরানা নেন একটি করে উইকেট।

এএইচএস