মাশরাফি বিন মুর্তজা

গত কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত দেশের ক্রিকেট অঙ্গন। সাকিব আল হাসানের বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বিরুদ্ধে এক গাদা অভিযোগের পর এবার দৃশ্যপটে সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। একের পর এক সাক্ষাৎকার দিয়ে নিজের বাদ পড়া নিয়ে সত্যটা প্রচার হয়নি বলে দাবি করছেন তিনি। 

২০২০ সালের মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজের অধিনায়কত্বের ইতি টানার ঘোষণা দেন মাশরাফি। তখনো দেননি অবসরের ঘোষণা। ওই ম্যাচের পর করোনা মহামারির কারণে মাঠে গড়ায়নি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এরপর দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডে খেলে বাংলাদেশ। 

ওই সিরিজের দলে রাখা হয়নি মাশরাফিকে। সে সময় এই বিষয়ে মুখ খুলেননি তিনি। তবে সম্প্রতি ক্রিকবাজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন দেশের অন্যতম সফল এই অধিনায়ক। ২০ বছর দেশকে সার্ভিস দেওয়ার পর আরও ভালো কিছু ডিজার্ভ করেন বলে মত তার। 
 
তিনি বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক। বিশ বছর দেশের জন্য দেওয়ার পর আমি আরও ভালো কিছু ডিজার্ভ করি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দল থেকে বাদ পড়ার পর অনেকেই আমার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছে। আমি তাদের বলেছি এটাকে আমি পেশাদারভাবে দেখছি। কিন্তু এরপরই অনেকে অনেক রকম বক্তব্য দিতে শুরু করে আমার বাদ পড়া নিয়ে।’ 

‘নান্নু ভাই যখন স্কোয়াড ঘোষণা করে তখন জানায় আমার সঙ্গে তার কথা হয়েছে। এটা মিথ্যা কথা। এসবকিছু দেখার পর আমার মনে হয়েছে সত্যটা মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না আর তারা শুধু একটা দিক দেখছে। আমি নান্নু ও সুমন ভাইকে বলেছি আমি এখন এটা নিয়ে কথা বলছি না, কিন্তু মিডিয়া যখন জিজ্ঞেস করবে একদিন আমি সত্যিটা বলবে। তখন সুমন ভাই আমাকে বলল, নান্নু ভাই তোকে বলেনি। আমি জিজ্ঞেস করেছি, আপনারা একসঙ্গে হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তো জানেন না?’ 

মাশরাফিকে বাদ দেওয়ার পেছনে অনেকেই তার ফিটনেস ইস্যুকে সামনে আনেন। তবে তিনি মনে করেন সবসময়ই ফিট ছিলেন। ডাটা দেখলেই তার ফিটনেসের প্রমাণ পাওয়া যাবে বলে জানান দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই অধিনায়ক। অনেকের চেয়ে তার ফিটনেস ভালো বলেও দাবি মাশরাফির।  

তিনি বলেন, ‘তারা আমাকে বাদ দেওয়ার কারণ হিসেবে ফিটনেসকে দেখাচ্ছে। ভালো, তাদের কাছে তো ডাটা আছে এবং তারা ভালোভাবে জানে আমি কোনো একটা ফিটনেস টেস্টেও ফেল করেছি কি না। আমি আপনাকে নিশ্চিত করে বলতে পারি অনেক প্রতিষ্ঠিত খেলোয়াড়ের চেয়ে আমার স্কোর ভালো। সেটা বিপ হোক অথবা ইয়ো ইয়ো টেস্ট। তারা কীভাবে না দেখেই বলে দেয় আমি ফিটনেস টেস্টে ফেল করব।’

এমএইচ/এটি