বাংলাদেশের একাদশ দেখে বিস্মিত নেপাল কোচ
দুই ম্যাচে নেপাল এক গোলও করতে পারেনি। সেই নেপাল আজ (সোমবার) ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালে ৪২ মিনিটের মধ্যে দুই গোল করেছে। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে নেপালের কোচ বাল গোপাল মহারজন এই দুই গোল পাওয়ার পেছনে বাংলাদেশের ডিফেন্ডারদের ব্যর্থতার সদ্ব্যবহারের কথা জানালেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ডিফেন্স আগের ম্যাচে অনেক অগোছালো ছিল। তারা সুসংগঠিত না থাকায় আমরা গোলের সুযোগ পেয়েছি। সেটা কাজে লাগানোয় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়েছি।’
বিজ্ঞাপন
নেপালের কোচ বাল গোপাল মহারজন বাংলাদেশ দলের একাদশ দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন, ‘এক ঘণ্টা আগে একাদশে যখন দেখলাম ছয় জন ফরোয়ার্ড, মাত্র দুইজন ডিফেন্স তখন খুবই অবাক হয়েছিলাম। ভাবছিলাম তারা শুরু থেকেই হয়তো খুব আক্রমণাত্মক হবে। কিন্তু দেখলাম না তেমন কিছু না।’
বাংলাদেশের কোচ জেমি ডে মিডফিল্ডার সাদ উদ্দিনকে আজ ফুল ব্যাক পজিশনে খেলিয়েছেন। এ রকম আরও অনেক পজিশনে তিনি পরিবর্তন করেছেন। ফাইনালে কোচের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আজ রানার্স আপ ট্রফি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে, এমনটা বলছেন অনেকে।
দ্বিতীয়ার্ধে অভিজ্ঞ ইয়াসিন আরাফাত, টুটুল হোসেন বাদশাকে ডিফেন্সে নামান কোচ ও ফরোয়ার্ড সুফিল, আব্দুল্লাহকেও নামান। অভিজ্ঞরা নামার পর ম্যাচের পার্থক্য অন্য সবার মতো চোখে পড়েছে নেপাল কোচেরও, ‘ দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশের রক্ষণভাগ গোছালো ছিল। তারা দ্বিতীয়ার্ধে ভালোই খেলেছে।’ দ্বিতীয়ার্ধে ভালো খেললেও সুফিলের গোল পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছে মাত্র। আর ম্যাচশেষে দেশের ফুটবলে আরেকটি আক্ষেপ যোগ হয়েছে।
নেপালের সিনিয়র ফুটবলার বিরাজ মহারজন এই ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে অবসর জানান। নেপালের অধিনায়ক কিরণ লিম্বু এই ট্রফি বিরাজ মহারজনকে উৎসর্গ করেন।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশের ফুটবলে রানার্স আপ ট্রফিগুলো
| সাল | টুর্নামেন্ট | ভেন্যু |
| ১৯৮৪ | সাফ গেমস | কাঠমান্ডু |
| ১৯৮৫ | সাফ গেমস | ঢাকা |
| ১৯৮৯ | সাফ গেমস | ইসলামবাদ |
| ২০০৫ | সাফ ফুটবল | করাচি |
| ২০১৫ | বঙ্গবন্ধু গোল্ডাকাপ | ঢাকা |
এজেড/এমএইচ