ছবি : ইএসপিএন ক্রিকইনফো

রান করে ফেলেছিলেন ১৯৩, বল বাকি ছিল আরও পাঁচটি। দলের অবশ্য জয়ের জন্য তখনো দরকার ৩০ রান। দলের জয় না হোক, নিজের ডাবল সেঞ্চুরি করার সুযোগটা বেশ ভালোভাবেই ছিল ফাখার জামানের। কিন্তু বেখেয়ালি হয়ে রান আউট হলেন তিনি, ১৭ রানে হারল তার দল পাকিস্তান। 

কাগিসো রাবাদার বলটা ফাখার ঠেলে দিয়েছিলেন লং অনের দিকে। সুযোগ ছিল দুই রান নেওয়ার। সেই অনুযায়ী সঙ্গী হারিস রউফের সঙ্গে দৌড়ও শুরু করেছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎই দৌড়ের গতি কমিয়ে দিলেন তিনি, লাইনের কাছে গিয়ে ফেললেন না ব্যাটও। এইডেন মার্করামের বল সরাসরি আঘাত হানে স্টাম্পে।

শেষ হয় ১৮ চার ও ১০ ছক্কায় ১৫৫ বলে ১৯৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। দক্ষিণ আফ্রিকা দেওয়া ৩৪২ রানের বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নামা পাকিস্তানকে অনেকটা একাই টানছিলেন ফাখার। ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল পাকিস্তান। ৭ রানেই প্রথম উইকেট হারায় তারা। ১০ বলে ৫ রান করে আউট হয়ে যান ইমাম উল হক। 

অধিনায়ক বাবর আজমও এই দিন ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৩৩ বলে ৩১ রান করে এনরিক নরকিয়ার বলে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। এরপর আর কেউই ভালো সঙ্গ দিতে পারেননি ফাখারকে। বাবরই পাকিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে ছিলেন। 

তবে একা লড়াই করেও দলকে জেতাতে পারেননি ফাখার। নির্ধারিত ৫০ ওভার খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩২৪ রানে থামে তাদের ইনিংস। ১০ ওভারে ৬৩ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন এনরিক নরকিয়া। 

এর আগে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জোহানেসবার্গে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ছোট ছোট ব্যক্তিগত সংগ্রহে বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০২ বলে সর্বোচ্চ ৯২ রান আসে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার ব্যাট থেকে। ৮৬ বলে ৮০ রান করেন কুইন্টন ডি ককও। ঝড়ো ইনিংস খেলেন রাসি ভ্যান ডার ডুসেন ও ডেভিড মিলার।

৩৭ বলে ৬০ রান করেন ডুসেন আর ২৭ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন ৫০ রানে। শেষ পর্যন্ত নির্ধরিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৪১ রান তুলে দক্ষিণ আফ্রিকা।

এমএইচ