১৯ রান তুলতেই শুরুর দুই উইকেট হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। এরপর ড্যারিল মিচলকে নিয়ে সেই ধাক্কা সামল দিয়েছেন রাচিন রবীন্দ্র। তুলে নিয়েছেন ব্যক্তিগত ফিফটি। অবশ্য এই টপ অর্ডার ব্যাটারও দ্রুতই ফিরতে পারতেন। কিন্তু বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করেছে ভারত। দুই রিভিউয়ের সঙ্গে দুটি ক্যাচ মিস, সবমিলিয়ে পঞ্চম বারের চেষ্টায় রবীন্দ্রকে সাজঘরে ফেরাতে পারলো ভারত।

ধর্মশালায় দেখে-শুনে শুরু করেছিলেন দুই কিউই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও উইল ইয়াং। তবে কনওয়েকে বেশিক্ষণ থাকতে দেননি মোহাম্মদ সিরাজ। ৯ বল খেলে ডাক খেয়েছেন তিনি। আরেকন ওপেনার ইয়াং শুরুটা ভালোই করেছিলেন। কিন্তু উইকেট থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৭ রান করা এই ওপেনারকে বোল্ড করেছে সিরাজ।

দ্রুত দুই ওপেনারকে হারিয়ে ধুঁকছিল কিউইরা। দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেন রবীন্দ্র ও মিচেল। এই দুইজন মিলে তৃতীয় উইকেটে গড়েন ১৫৯ রানের জুটি। অবশ্য এই জুটি অনেক আগেই ভাঙতে পারতো। ভারতীয়রা বেশ কিছু মিস ফিল্ডিং করায় তাদের অপেক্ষা বেড়েছে।

এই যেমন, রবীন্দ্র একাই জীবন পেয়েছেন দুইবার। সঙ্গে একবার রিভিউ নিয়ে বেঁচেছেন, আরেকবার তার বিপক্ষে রিভিউ নিলে সেটি নষ্ট হয়েছে। 

ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে ছিলেন বুমরাহ। এই ডানহাতি পেসারকে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করেন রবীন্দ্র। বল প্যাডে আঘাত হানলেও আউট দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নেয় ভারত, কিন্তু তাতেও সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আসেনি।

এরপর এগারোতম ওভারে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেছে ভারত। মোহাম্মদ শামির বলে ক্যাচ তুলেছিলেন রবীন্দ্র, ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সেটা ফেলে দিয়েছেন জাদেজা। তর্কসাপেক্ষে সময়ের সেরা এই ফিল্ডারের হাতে জীবন পাওয়ার মতো কপাল খুব কম ব্যাটারেরই হয়!

এরপরের ঘটনা ১৭তম ওভারের। কুলদীপ যাদবকে সোজা ব্যাটে খেলতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছিলেন। সেটা জমাতে পারেননি এই স্পিনার। এটাকে হাফ চান্সই বলা যায়। তারপরও সুযোগ ছিল ফেরানোর। 

২৯তম ওভারে তো রবীন্দ্রকে আউটই দিয়েছিলেন আম্পায়ার। সিরাজের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েছিলেন তিনি। তবে রিভিউ নেন রবীন্দ্র। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায়, ইম্প্যাক্ট লেগ স্টাম্পের বাইরে। ফলে এ যাত্রায়ও বেঁচে যান তিনি।

অবশেষে ৩৪তম ওভারে রবীন্দ্রকে ফেরান মোহাম্মদ শামি। এই পেসারের স্লো অফ কাটারে লং অনে শুবমান গিলের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। এবার আর ভুল করেনি স্বাগতিকরা। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৮৭ বলে ৭৫ রান।

এইচজেএস