মিচেলের সেঞ্চুরিতে লড়াকু পুঁজি নিউজিল্যান্ডের
১৯ রান তুলতেই শুরুর দুই উইকেট হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। এরপর রাচিন রবীন্দ্রকে নিয়ে সেই ধাক্কা সামল দিয়েছেন ড্যারিল মিচল। এই মিডল অর্ডার ব্যাটারের সেঞ্চুরিতে বড় রানের পথেই ছিল কিউইরা। তবে শেষ দিকে জাসপ্রিত বুমরাহ ও মোহাম্মদ শামির দুর্দান্ত বোলিংয়ে তিনশো ছুঁতে পারেনি নিউজিল্যান্ড।
রোববার (২২ অক্টোবর) ধর্মশালায় টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৭৩ রান তুলেছে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩০ রান করেছেন ড্যারিল মিচেল। ভারতের হয়ে ৫ উইকেট শিকার করে দলের সেরা বোলার মোহাম্মদ শামি।
বিজ্ঞাপন
ধর্মশালায় দেখে-শুনে শুরু করেছিলেন দুই কিউই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও উইল ইয়াং। তবে কনওয়েকে বেশিক্ষণ থাকতে দেননি মোহাম্মদ সিরাজ। ৯ বল খেলে ডাক খেয়েছেন তিনি। আরেকন ওপেনার ইয়াং শুরুটা ভালোই করেছিলেন। কিন্তু উইকেট থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৭ রান করা এই ওপেনারকে বোল্ড করেছে সিরাজ।
দ্রুত দুই ওপেনারকে হারিয়ে ধুঁকছিল কিউইরা। দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেন রবীন্দ্র ও মিচেল। এই দুইজন মিলে তৃতীয় উইকেটে গড়েন ১৫৯ রানের জুটি। অবশ্য এই জুটি অনেক আগেই ভাঙতে পারতো। ভারতীয়রা বেশ কিছু মিস ফিল্ডিং করায় তাদের অপেক্ষা বাড়ে। দুই রিভিউয়ের সঙ্গে দুটি ক্যাচ মিস, সবমিলিয়ে পঞ্চম বারের চেষ্টায় রবীন্দ্রকে সাজঘরে ফেরায় ভারত। তার আগে রবীন্দ্রের ব্যাট থেকে এসেছে ৭৫ রান।
বিজ্ঞাপন
এরপর ব্যর্থ হয়েছেন টম ল্যাথাম-গ্লেন ফিলিপসরা। তাদের দ্রুত বিদায়ে চাপে পড়ে কিউইরা। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মিচেল। মূলত তার ব্যাটে ভর করেই লড়াই করার পুঁজি পেয়েছে দল। তিনি ১০০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তার ব্যাট থেকে এসেছে ১২৭ বলে ১৩০ রান।
ভারতের হয়ে শেষ দিকে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন মোহাম্মদ শামি ও জাসপ্রিত বুমরাহ। বিশেষ করে শামি এদিন রীতিমতো আগুন ঝরিয়েছেন! এই ডানহাতি পেসার একাই শিকার করেছেন ৫ উইকেট। ভারতীয়দের হয়ে একমাত্র বোলার হিসেবে বিশ্বকাপে দুইবার ফাইফার পাওয়ার রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
এইচজেএস