গেল আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সেরা পারফরমার ছিলেন তিনি। সর্বাধিক রান সংগ্রাহকও ছিলেন তিনিই। এরপর ঘরোয়া মৌসুমটাও দুর্দান্ত কাটিয়েছিলেন দেবদূত পাড়িক্কল, যা বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে দারুণ আশাই দেখাচ্ছিল চলতি আইপিএল শুরুর আগে। তবে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই আসে দুঃসংবাদ, করোনায় আক্রান্ত হয়ে ছিটকে যান তিনি। তবে দ্বিতীয় ম্যাচের আগেই দলকে সুখবর দিলেন তিনি, জানালেন করোনামুক্ত হয়ে এখন খেলতে প্রস্তুত তিনি। 

গত ২২ মার্চ তার শরীরে করোনার উপস্থিতি ধরা পড়েছিল। পরের রিপোর্টটা অবশ্য নেগেটিভই এসেছিল। তবে প্রথম ম্যাচ খেলার পথে তার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বোর্ডের নিয়ম। থাকতে হয়েছিল আইসোলেশনে। 

তবে গেলবার বেঙ্গালুরুর সেরা পারফরমার এখন পুরোপুরি ফিট। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, মাঠে নামার জন্য তিনি তৈরি। আরসিবি’র তরুণ ওপেনারের কথা, ‘প্রথম ম্যাচটা আমি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে খেলতে পারিনি। যে কারণে মনটা খুব খারাপই ছিল। তবে কিছু করারও তো ছিল না। যা হয়েছে, সেটা মেনে নিয়েছি। তখন থেকেই মানসিকভাবে নিজেকে শক্ত করেছি, প্রস্তুতি নিয়েছি পরের ম্যাচ খেলার। এখন আমি পুরোপুরি সুস্থ। সুযোগ পেলে শতভাগ উজাড় করে দিয়েই খেলব।’

২০ বছর বয়সি এই ব্যাটসম্যান গত ২০২০ আইপিএলে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। ১৫ ম্যাচ খেলে করেছিলেন ৪৭৩ রান। ছিল পাঁচটি ফিফটি। সেটা যে ঝড়ে-বকে নয় তার প্রমাণ তিনি দিয়েছেন চলতি বছরের শুরুতে হওয়া সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে। ছয় ম্যাচে করেছেন ৪৩.৬০ গড়ে ২১৮ রান। বিজয় হাজারে ট্রফিতেও সাত ম্যাচ খেলে করেছেন ৭৩৭ রান। গেলবারের আইপিএল, ও এরপর নিজের দারুণ ফর্ম প্রসঙ্গে দেবদূত বলেন, ‘গেল আইপিএলটা দুর্দান্ত কেটেছিল। টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার পূর্ণ প্রতিদান দিতে পেরে ভালো লাগছিল। বিরাট ভাই প্রশংসা করেছেন, দলের সবাই বাহবা দিয়েছেন। তাই আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে গিয়েছিল।’

তবে গেলবারের সাফল্যেই মন ভরছে না তার। এবার লক্ষ্য আরও উঁচুতে। সেজন্যেই ঘরোয়া ক্রিকেটে দিয়েছিলেন বাড়তি মনোযোগ, যারই ফল মুশতাক আলি ও বিজয় হাজারে ট্রফিতে তার ব্যাটে রান-বন্যা। তিনি বললেন, ‘এবারের আসরে আরও ভালো নৈপুণ্য দেখানোর জন্য আগাম প্রস্তুতি নিয়েছি। ঘরোয়া ক্রিকেটকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোই ছিল আমার উদ্দেশ্য। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে ভালো করেছি, তবে আশা করেছিলাম আরও ভালো করব। বিজয় হাজারে ট্রফিতে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাই নিজের ব্যাটিং নিয়ে। সেটা কাজে দিয়েছে বলেই সহজে রান পেয়েছি। ঘরোয়া ক্রিকেটের সাফল্য আইপিএলের মঞ্চে মেলে ধরাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। আশা করছি ব্যর্থ হব না।’

তার অনুপস্থিতিতে প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং অর্ডারে ওপরে তুলে আনা হয়েছিল ওয়াশিংটন সুন্দরকে। তিনি যদি ফেরেন তাহলে হয়তো ফিরবেন ওপেনিংইয়েই। সে প্রসঙ্গে দেবদূত বলেন, ‘বিরাট ভাইয়ের মতো বড় তারকার সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে নামতে পারাটা ভাগ্যের ব্যাপার। এছাড়াও দলে অনেক সিনিয়র আছেন, যাদের সঙ্গে কাজ করতে তর সইছে না আমার।’

এনইউ/এটি