ভারতীয় ক্রিকেট দল বর্তমানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ব্যস্ত। ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত প্রথম দুই টেস্টে ১-১ সমতা এসেছে। একই সময়ে দেশটিতে চলছে ঘরোয়া ক্রিকেটের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতা রঞ্জি ট্রফি। যেখানে ভারতের সব ক্রিকেটারের খেলা বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। এমনকি জাতীয় দলের ব্যস্ততা শেষে রোহিত-কোহলিদেরও রঞ্জি ট্রফিতে নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত কয়েকদিন ধরেই দেশটির ক্রিকেটে বড় আলোচিত বিষয় রঞ্জি ট্রফিতে সব ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলেই আসছে যে ইশান কিষাণের মতো ক্রিকেটাররা রঞ্জিতে না খেলায় নতুন করে এই কড়াকড়ি করছে বিসিসিআই। এমনকি ওই ঘরোয়া টুর্নামেন্টে না খেললে আইপিএলে খেলার ক্ষেত্রেও ক্রিকেটারদের বাধার মুখে পড়তে হবে বলে জানানো হয়। তা সত্ত্বেও এখনও চলমান রঞ্জিতে নামেননি ইশান। 

সে কারণে গতকাল (শুক্রবার) রোহিত-কোহলিসহ কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদেরও সতর্কতা জারি করেছেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের পাশাপাশি ভারতের ‘এ’ দলের খেলোয়াড়রাও যেন ঘরোয়া লাল-বলের টুর্নামেন্টে বাধ্যতামূলকভাবে অংশ নেন, তিনি সেই নির্দেশ দিয়েছেন। এই সপ্তাহের শুরুতে জয় শাহের কাছ থেকে আসা সতর্কতা সত্ত্বেও ইশান কিষাণ, শ্রেয়াস আইয়ার এবং দীপক চাহারের মতো খেলোয়াড়রা রঞ্জি ট্রফি ম্যাচের ফাইনাল রাউন্ড এড়িয়ে যান। এরপরই চিঠিটি পাঠানো হয়।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা, ক্রিকেটারদের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে জয় শাহ বলেছেন, ‘সম্প্রতি খেলোয়াড়দের মাঝে একটি প্রবণতা দেখা দিয়েছে এবং সেটি উদ্বেগেরও কারণ। কিছু খেলোয়াড় ঘরোয়া ক্রিকেটের চেয়ে আইপিএলকে অগ্রাধিকার দেওয়া শুরু করেছে, এমন পরিবর্তন প্রত্যাশিত নয়। ভারতীয় ক্রিকেটে সবসময়ই ঘরোয়া ক্রিকেটই মূল ভিত্তি ছিল এবং এটি ভবিষ্যতে থাকবেও।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেট ভারতীয় ক্রিকেটের মেরুদণ্ড এবং টিম ইন্ডিয়ার ফিডারলাইন হিসেবে কাজ করে। বোর্ড যখন আইপিএলের সাফল্যে গর্বিত, খেলোয়াড়দেরও অবশ্যই ঘরোয়া লাল-বলের ক্রিকেটকে অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য এটির প্রাসঙ্গিকতাকে একটি ধাপ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।’

বিসিসিআই সচিবের চিঠিতে পরিস্কার বার্তা রয়েছে যে— প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট না খেললে জাতীয় দলের দরজা খুলবে না। এর আগে আইপিএলে ভাল পারফরম্যান্স করলে ভারতের জাতীয় দলে খেলার সম্ভাবনা বাড়ত। তবে সেই প্রক্রিয়া হয়তো শেষ হতে চলেছে। জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার জন্য এখন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলাকে অনেকটা বাধ্যতামূলক করে তুলতে চায় বিসিসিআই। অন্যথায় ভুগতে হবে এর বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের!

এএইচএস