সেঞ্চুরি করে আর টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েও যেন স্বস্তিতে নেই বিরাট কোহলি। ৫ ম্যাচ খেলে ৩১৬ রান করে এবারের আইপিএলে সবচেয়ে বেশি রান এখন কোহলির। ২ ফিফটি আর ১ শতকের সুবাদে বাকি ব্যাটারদের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে আছেন তিনি। গতকালই রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে পেয়েছেন সেঞ্চুরি। 

এবারের আসরের প্রথম সেঞ্চুরি করার পথে ৬৭ বল খেলেছিলেন কোহলি। এটাই আবার আইপিএল ইতিহাসে মন্থরতম সেঞ্চুরির রেকর্ড। ২০০৯ সালে সবশেষ ৬৭ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন মনীশ পান্ডে। ৬৬ বলে সেঞ্চুরি করেছেন তিনজন। ২০১১ সালে শচীন টেন্ডুলকার, ২০১০ সালে ডেভিড ওয়ার্নার এবং ২০২২ সালে জশ বাটলার তিন অঙ্কে যেতে খেলেছিলেন ৬৬ বল। 

এমন সেঞ্চুরির পর নিজ দেশের অনেকের কাছ থেকে তো বটেই, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান থেকেও খোঁচা হজম করতে হয়েছে বিরাট কোহলিকে। দেশটির পেসার জুনায়েদ খান নিজেদের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘আইপিএলের ইতিহাসে মন্থরতম শতরান করার জন্য বিরাট কোহলিকে অভিনন্দন।’ 

এমন সব সমালোচনা অবশ্য এসেছে কোহলির নিজের কাছেও। কিন্তু, কোহলি সরাসরি জানিয়েছেন তিনি এসব নিয়ে ভাবতে রাজি নন, ‘কোনও ধরনের ভাবনা নিয়ে কখনও খেলতে নামি না। আক্রমণ করব না ধরে খেলব এই ভাবনা মাথাতেই থাকে না। আজ এক সময় ১০ বলে ১২ রান ছিল আমার। তখনও অতিরিক্ত আগ্রাসী হতে যাইনি। বোলারকে ভাবতে বাধ্য করেছি।’ 

কোহলি নিজেও জানেন পরিস্থিতির কথা। তবে এমন সময়ে এসে নিজের দীর্ঘ অভিজ্ঞতার প্রতিই আস্থা রাখছেন তিনি, ‘বোলারেরা সব সময় চায় আমি যাতে শট খেলি এবং আউট হই। কিন্তু এত দিনে এটুকু অভিজ্ঞতা এবং পরিণত মানসিকতা আমার হয়েছে যাতে ওদের ভাবাতে পারি। আমি পরিবেশ এবং পিচ অনুযায়ী খেলি।’ 

অবশ্য, গতকাল যে পিচে খেলেছেন, সেই জয়পুরে খুব একটা ভাল রেকর্ড ছিল না কোহলির। উত্তরাঞ্চলীয় এই মাঠে গতকালের আগে কোহলির গড় ছিল ২২ এর নিচে। এমনকি এর আগে কেবল একবারই এই মাঠে আইপিএলে সেঞ্চুরি এসেছিল। ২০১৯ সালে আজিঙ্কা রাহানে দিল্লির বিপক্ষে খেলেছিলেন ১০৫ রানের ইনিংস। 

যদিও গতকাল একদিনেই হয়েছে দুই সেঞ্চুরি। এরপরেও কোহলি জানালেন পিচের কথাও, ‘অন্যান্য মাঠের থেকে এখানকার উইকেট একটু আলাদা। দেখে মনে হবে ফ্ল্যাট উইকেট। কিন্তু বল পড়ে ধীরে ব্যাটে আসছে। স্পিনারদের ক্ষেত্রে হঠাৎই বলের বাউন্স বদলে যাচ্ছে। মাঠে আয়তনটাও অন্য রকম।’ 

জেএ