দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের দৈন্যদশার চিত্র খোলামেলা। এই ফরম্যাটে নিজেদের খেলা সবশেষ ১১ টেস্টে মোটে ১ জয় টাইগারদের। সাদা পোশাকে ব্যর্থতার জন্য ঘুরেফিরে সামনে আসে ঘরোয়া ক্রিকেট কাঠামো। করোনার কারণে প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্টগুলো নিয়মিত নয়। দীর্ঘদিন পর মাঠে ফিরে আবার বন্ধ হয় জাতীয় ক্রিকেট দল। স্থগিত থাকা সেই টুর্নামেন্ট শুরু হবে আসন্ন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের পর।

করোনাভাইরাসে এলোমেলো দেশের ক্রিকেট ক্যালেন্ডার। ২০১৯-২০ প্রিমিয়ার লিগের আসর শেষ করা যায়নি এখনো। গতবছর ১ রাউন্ড পর স্থগিত হয়ে যায় ডিপিএল। চলতি মাসের শুরুতে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের ভাবনা থাকলেও খেলা মাঠে ফেরাতে পারেনি বিসিবি। গত এপ্রিল মাসে এনসিএলের পর্দা উঠলেও সেটি চালিয়ে নেওয়া যায়নি। এই টুর্নামেন্টের দুই রাউন্ড শেষ হলে লিগ ‘সাময়িক’ স্থগিতের ঘোষণা আসে।

গত ২ এপ্রিল এনসিলের বন্ধের পর দ্রুত খেলা ফেরানো চেষ্টা করলেও লকডাউনের কারণে আর পেরে ওঠেনি বিসিবি। তবে এর মধ্যে সিসিডিএম থেকে জানানো হয়, মে মাসেই শুরু হবে ডিপিএলের বাকি অংশ। ৩১ মে শুরু হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্ট চললে এনসিলের ভাগ্যে কি আছে?

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের টুর্নামেন্ট কমিটির ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রিমিয়ার লিগের পর এনসিএল শুরুর ভাবনা আছে বোর্ডের।

এদিকে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ প্রস্তুতি কথা মাথায় রেখে এবারের ডিপিএল কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিসিডিএম। এনসিএল না ফিরিয়ে প্রিমিয়ার লিগের জন্য এই সময়টা বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে জানা গেছে, শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে হাতে কিছুদিন সময় পাবেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। এই সময়টা হাতছাড়া করতে চায় না আয়োজক ও ক্লাবগুলোর কোন পক্ষই।

টিআইএস/এনইউ