ইমাম ডেকে এনে হোটেলে পড়েছিলাম ঈদের নামাজ
বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাস রাঙিয়েছে অনূর্ধ্ব-১৯ দল। বিশ্বজয়ের ট্রফি উচিয়ে ধরেছিলেন আকবর আলীরা। এর পিছনে লুকিয়ে আছে কঠোর পরিশ্রমের গল্প। ২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে ২০১৯ সালে ইংল্যান্ড সফর করে অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সেই সফরে ঈদের দিনও ম্যাচ খেলতে হয়েছিল আকবরদের। সেই স্মৃতি কোনো ঈদের সঙ্গেই মেলাতে চান না বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।
করোনাকালে ঈদ, স্বাভাবিক সময়ের ঈদের সঙ্গে মহামারির সময়কার ঈদকে কিভাবে দেখছেন আকবর? ঢাকা পোস্টকে বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক জানান, ‘আগের ঈদ আর বর্তমান ঈদের মধ্যে অনেক পার্থক্য। আমার মনে হয় না যে আগে যেমন সবকিছু স্বতঃস্ফূর্তভাবে হতো সেটি এখন আর সম্ভব! শুধু যতটুকু না করলেই নয়, নিজের বাসার মধ্যে মেলামেশায় সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। আগে তো সবকিছু খোলামেলা ছিল, সবকিছু অবাধ ছিল, এবার তো সেই উপায় নেই।’
বিজ্ঞাপন
করোনার মধ্যে ঈদ এজন্য বাড়তি উন্মাদনা নেই বটে। বন্ধুদের সেই পুরনো আড্ডার জটলা বা দূরে কোথাও হারিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই করোনাকালীন ঈদে। তবুও আকবরের স্বস্তি, নিজ বাড়ি রংপুরে আছেন তিনি। কোথাও যাওয়ার সুযোগ না থাকলেও পরিবারের সঙ্গে যে ঈদ উদযাপন করতে পারবেন, সেটিতেই স্বস্তি খুঁজছেন তিনি।
বিশ্বকাপ জয়ের পরে আকবর রীতিমতো তারকা বনে গেছেন। যেখানেই যান, মেটাতে হয় সমর্থকদের সেলফির আবদার। ঈদে সেটি তুলনামূলক বেড়ে যায়। আকবর বলছেন, এগুলোর সঙ্গে মানিয়ে চলতে হবে। পরিস্থিতিকে পাশ কাটাতে পারবেন না।
বিজ্ঞাপন
আকবর জানান, ‘আসলে পরিস্থিতি অনুযায়ী আমাদেরকে মানিয়ে চলতে হবে। দেখেন গতবারও কিন্তু আমরা এই জিনিসগুলো এড়িয়ে চলেছিলাম, এবারও সেটিই করতে হবে।’
নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে একবার দেশের বাইরে ঈদ করতে হয়েছিল আকবরকে। এমনকি ঈদের দিনেও ম্যাচ ছিল বাংলাদেশ দলের। সেই অনুভূতি আকবর মেলাতে চান না করোনাকালের ঈদের সঙ্গেও।
আকবর বলেন, ‘একবার দেশের বাইরে ঈদ করার অভিজ্ঞতা আছে আমার। ইংল্যান্ডে ছিলাম আমরা, ঈদের দিনই ম্যাচ ছিল। তবে সেটির অনুভূতি একেবারে আলাদা ছিল। আমার মনে আছে আমাদের দুপুর ১১টায় ম্যাচ ছিল। আমরা সকাল ৮টায় হোটেলে ঈদের জামাত পড়েছিলাম ইমাম সাহেবকে ডেকে এনে। দেশের বাইরে প্রথম ঈদ, সেটার অনুভূতি একেবারে ভিন্ন ছিল।’
টিআইএস/এটি