একই প্রশ্ন শুনতে শুনতে বিরক্ত তামিম!
অনুশীলনে তামিম ইকবাল/বিসিবি
বিষয়টা অনেকেটাই অনুমেয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ দলের সংবাদ সম্মেলন মানেই আলোচনায় তামিম ইকবালের ব্যাটিং কৌশল। এনিয়ে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কেও যেমন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়, তেমনি দলের সদস্য হয়ে আসা অন্যদেরও একই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে আজ (শুক্রবার) আবারও একই প্রশ্নের মুখোমুখি তামিম। জানালেন, এগুলো শুনতে শুনতে রীতিমত বিরক্ত তিনি।
২৩ মে প্রথম ওয়ানডের আগে ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে নিজের ব্যাটিংয়ের ধরণ নিয়ে তামিম বলেন, ‘আমার ব্যাটিং এপ্রোচ নিয়ে আমি অনেক কথা বলেছি, অনেকবারই বলেছি। এটা কখনও থামছে না। প্রশ্ন আসতেই থাকে। আমি কোন এপ্রোচে খেলব? গত ৪-৫ বছরে যে এপ্রোচে খেলেছি ঐ এপ্রোচেই খেলব কারণ এতে আমি বেশ সফল হয়েছি।’
বিজ্ঞাপন
গণমাধ্যম কর্মীদের তামিম অনুরোধ করেছেন, তার ব্যাটিংয়ের ধরণ নিয়ে আর প্রশ্ন না করতে। তামিম জানান, ‘এটা নিয়ে আমার ভবিষ্যতেও আর কিছু বলার নেই। অনেক বলেছি...। আমার অনুরোধ, এটা নিয়ে আর কেউ কোনো প্রশ্ন করবেন না।’
তামিমকে মূলত কাঠগড়ায় তোলা হয় তার ব্যাটিংয়ের ধরণের কারণে। অনেকেই মনে করেন, ইনিংস শুরু করতে নেমে তার ধীরগতির ব্যাটিং আরও বিপদে ফেলে দলকে। উইকেটে থাকা সতীর্থ ব্যাটসম্যানের উপর বাড়তি চাপ তৈরি করে। তবে তামিম বা টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে বারংবার বলে আসা হচ্ছে, এটি দলীয় পরিকল্পনার অংশ।
বিজ্ঞাপন
এদিকে মিরপুরের উইকেট নিয়ে আলোচনা কম নয়। শের-ই-বাংলার উইকেট তুলনামূলক ধীরগতিসম্পন্ন। অনেক সময় অভিযোগ উঠেছে, ম্যানেজমেন্ট একরকম উইকেটের চাহিদা করলেও ম্যাচে মনমতো উইকেট পাওয়া যায় না। তবে অধিনায়ক তামিম জানালেন, এবার উইকেটের বিষয়ে আপোষহীন তারা।
তামিম জানান, ‘উইকেট নিয়ে আমরা টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে পরিষ্কার বার্তা দিয়ে দিয়েছি। যে উইকেটের দায়িত্বে আছেন তাদেরকেও খুব স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছি কী ধরনের উইকেট চাই। আশা করি আমরা সেরকম উইকেটই পাব। সংবাদ সম্মেলনে এর চেয়ে বেশি কিছু বলা আমি জরুরী মনে করি না। কারণ আমি নিশ্চিত (এখানে বললে) প্রতিপক্ষও এটা জানবে। এরকম কোনো কিছু হবে না যা খুবই ভিন্ন। যারা এর সাথে আছে তাদের স্পষ্টভাবে বলে দেওয়া আছে কেমন উইকেট চাই।’
টিআইএস