বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এক বছর পর চলতি বছরের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে দলে ফিরেছেন তিনি। সাকিব বাংলাদেশ দলের হয়ে যে ম্যাচে সবশেষ মাঠে নেমেছিলেন, ওই ম্যাচে জয় পায় টাইগাররা। পরে চোটে পড়ে ছিটকে যান ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচেই। সে ম্যাচসহ এরপর সর্বমোট ১০টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে টাইগাররা। তবে জয়ের দেখা পায়নি।

ইনজুরি আর ছুটি কাটিয়ে দীর্ঘদিন পর দলে ফিরেছেন সাকিব। বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের দলে অর্ন্তভুক্তির খবর স্বস্তি ফিরিয়েছে বাংলাদেশ দলে। হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো জানালেন, সাকিবের মতো অভিজ্ঞ কাউকে দলে পাওয়া বড় প্রাপ্তি।

আজ (শনিবার) ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে ডমিঙ্গো বলেন, ‘অবশ্যই সাকিবের ফেরা স্বস্তির বিষয়। গত কয়েক বছর ধরে তাকে নিয়মিত পাওয়া যাচ্ছে না। এমন জায়গায় খেলা অনেক কঠিন। তাই তার মত অভিজ্ঞ কাউকে পাওয়া বড় প্রাপ্তি। তাকে খেলতে দেখতে মুখিয়ে আছি।’

সাকিব বাংলাদেশ ক্রিকেটের আস্থা জায়গা হলেও দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছেন বেশ কয়েকজন। তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিমরাও ফলাফল পক্ষে আনতে পারছেন না। মাঠের ক্রিকেটে কোথায় পিছিয়ে পড়ছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা? 

ডমিঙ্গো জানান, ‘আমাদের বেসিক ভালো করতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে ওয়ানডেতে আমাদের বেসিক ভালো হচ্ছে না। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ভালো খেলেছিল। আমরা বেসিকে মনোযোগ দিতে চাই। খুব জটিল করে ভাবার কিছু নেই। বেসিক ঠিক রাখলেই হবে। এই ফরম্যাটে এটুকু করতে পারলেই সাফল্য সম্ভব।’

তবে আশার বাণীও শোনালেন ডমিঙ্গো, ‘আমাদের মুশফিক, রিয়াদ, তামিম ও সাকিবের মত অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে। তরুণ খেলোয়াড়রাও উঠে আসছে যাদের সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন। আফিফের মত খেলোয়াড়রা এই সিরিজে দলে ভূমিকা রাখতে পারে। দলে চোটের সমস্যা থাকতে পারে, কেউ পারফর্ম করতে না পারে। তখন তরুণদের পারফর্ম করতে হবে। ছেলেরা অনেকদিন ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে, তারা জানে কীভাবে কী করতে হয়। পুরো কোচিং প্যানেল নেই এটা স্বস্তিকর নয়।’

টিআইএস/এটি/এমএইচ