ছবি: সংগৃহীত

সৌরভ গাঙ্গুলি পাঁচ দিন হাসপাতালে কাটানোর পর অবশেষে  ছাড়া পেলেন। তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার আগে কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানাতেও ভোলেননি বিসিসিআই সভাপতি।

গত শনিবার দুপুর নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আলিপুরের উডল্যান্ডস হাসপাতালে যেতে হয় তাকে। দেশ বিদেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন ডাক্তারদের সমন্বয়ে তার জন্যে গঠন করা হয় বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড। তাদের পরীক্ষাতেই ধরা পড়ে তার হৃদযন্ত্রের ধমনীতে তিনটি ব্লকেজ। যার একটি ইতোমধ্যেই অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির মাধ্যমে সারিয়ে তোলা হয়েছে।  

গত মঙ্গলবার ভারতের বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠিও তার পর্যবেক্ষণে চার্টার্ড ফ্লাইটে করে ছুটে আসেন কলকাতায়। তার পর্যবেক্ষণের পরই সিদ্ধান্ত হয় সপ্তাহদুয়েক পর পরবর্তী দুই অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির সময়। সৌরভের সব ধরনের মেডিক্যাল প্রতিবেদন ও শারীরিক অবস্থা দেখার পরই তিনি জানান, বিশ্বমানের চিকিৎসাই দেয়া হয়েছে তাকে। আর ‘গোল্ডেন আওয়ারে’ চিকিৎসকদের তৎপরতা বড় ক্ষতির মুখ থেকে বাঁচিয়ে এনেছে তাকে। 

এ কারণে হাসপাতাল ছাড়ার সময়ে কর্তৃপক্ষ ও কর্তব্যরত চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি সৌরভ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘এখানকার চিকিৎসক, নার্স, হাসপাতালের কর্মীরা যে ভাবে আমার সেবাযত্ন ও চিকিৎসা করেছেন, তার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’ করোনাকালেও ভক্ত-সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়েছিল হাসপাতালে। আলিপুরের সে হাসপাতালে একটা আলাদা লাউঞ্জও খুলতে হয়েছিলো উডল্যান্ডস কর্তৃপক্ষকে। সৌরভ ধন্যবাদ জানান সে শুভানুধ্যায়ীদেরও। 

দেবী শেঠি তাকে পর্যবেক্ষণের পরই জানিয়েছিলেন সুস্থ আছেন তিনি, এমনকি চাইলে নেমে পড়তে পারেন ক্রিকেট মাঠেও। সেটা শুনেই হয়তো, কাজে ফেরার আর তর সইছে না সৌরভের। বললেন, ‘আমি ভালো আছি। শিগগিরই কাজেও ফিরে আসবো।’ তবে আগামী কয়েক সপ্তাহ কড়া নিয়ম মেনে চলতে হবে সৌরভকে। লাল মাংস কিংবা অতিরিক্ত স্নেহজাতীয় খাবারে আছে চিকিৎসকদের নিষেধাজ্ঞা। সপ্তাহদুয়েক পর পরবর্তী অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির আগ পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ মেনে থাকতে হবে সাবেক ভারতীয় অধিনায়ককে।

এনইউ