ব্যর্থ জিসান-আবরার, নতুন করে চেনালেন মেহেরব-সাকলাইন
ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে নাটকীয় সুপার ওভারে জিতে রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ফাইনালেও হলো সুপার ওভার। যেখানে বাংলাদেশের দেওয়া ৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২ বল হাতে রেখেই তৃতীয়বারের মতো শিরোপা জিতল পাকিস্তান।
ফাইনালে বোলাররা জয়ের ভিত গড়ে দিলেও মূলত ব্যাটারদের ব্যর্থতায় শিরোপার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে বাংলাদেশের। টুর্নামেন্টজুড়ে টপ অর্ডার ব্যাটারদের দুর্বালতা ছিল স্পষ্ট। জিসান আলম-জাওয়াদ আবরাররা নিজেদের চেনাতে ব্যর্থ। এইচপি দলে না থাকা আবরারের দলে ডাক পাওয়া নিয়েও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।
বিজ্ঞাপন
এমন সমীকরণে ব্যাট হাতে প্রতি ম্যাচেই নিজের সঙ্গে তাকে লড়াই করতে দেখা গেছে। প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে করেন ৪ বলে ২ রান। এরপর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট হাতে সংগ্রাম করে করেন ২২ বলে ২৪ রান। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করেন ২৩ বলে ২৫ রান। যা একজন টপ অর্ডার ব্যাটারের নামের পাশে বেমানান।
পরে সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে আবরার করেন ১৯ বলে ১৩ রান। এমন ইনিংস খেলার পরে তার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠে, পরে ফাইনালে গতকাল ছিলেন ডাগ-আউটে। অন্য দিকে একই চিত্র জিসান আলমের ক্ষেত্রেও। দেশের হয়ে জাতীয় দল বাদে সব জায়গায় প্রতিনিধিত্ব করেন। কিন্তু কোথাও ধারাবাহিক হতে পারছেন না। তিনি ৫ ম্যাচ খেলে করেছেন ৭৯ রান। যা একজন ওপেনারের জন্য অস্বস্তিকর।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে ব্যাটিং অলরাউন্ডার হিসেবে নতুন করে চেনালেন মেহেরব হোসেন অহিন। টুর্নামেন্টজুড়ে যখন যেখানে সুযোগ পেয়েছেন রান করেছেন। এছাড়া বল হাতেও নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা ছিল। ৫ ম্যাচে বল হাতে নিয়েছেন ৫ উইকেট, রান করেছেন ৮৩। এছাড়া গফফার সাকলাইনও বল হাতে নতুন করে সকলের নজর কেড়েছেন। মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন নিজের সামর্থ্যের, নিয়েছেন ৫ উইকেট। তবে ইকোনোমি রেট কিংবা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ছিলেন দায়িত্ববান।
এর আগে গতকাল ফাইনালে নির্ধারিত ২০ ওভারে বল করতে নেমে পাকিস্তানকে মাত্র ১২৫ রানে আটকে দেন রিপন মন্ডল, রাকিবুল হাসানরা। ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর রিপন-সাকলাইনদের কল্যাণে বাংলাদেশও সমান ১২৫ রান করে।
বাংলাদেশ-ভারত সেমিফাইনালের মতো ফাইনালও গড়ায় সুপার ওভারে। যেখানে প্রথম বলে হাবিবুর রহমান সোহান এক রান নেওয়ার পর স্ট্রাইকে যান আব্দুল গাফফার সাকলাইন। দ্বিতীয় বলেই তিনি আউট হয়ে যান। এরপর পাক পেসার আহমেদ দানিয়াল ওয়াইড এবং বাই চার দিয়ে বসেন। জিসান প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ আর কোনো রান যোগ করতে পারেনি। ফলে তাদের পুঁজি দাঁড়ায় স্রেফ ৬ রান।
সুপার ওভারের প্রথম দুটি বলই ইয়র্কার করেছিলেন রিপন। তবে দুবারই সিঙ্গেল রান পেয়ে যায় পাকিস্তান। একইভাবে তৃতীয় বলটি ছাড়তে গিয়ে ফুল টস দিয়ে বসেন ডানহাতি এই পেসার। যা কাজে লাগিয়ে স্কয়ার লেগে সাদ মাসুদ চার আদায় করে নেন। পরের বলে সিঙ্গেল রান নিয়েই মাতেন বিজয়োল্লাসে। আকবর আলীর দলকে হারিয়ে রাইজিং স্টারস এশিয়া কাপের প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হলো পাকিস্তান শাহিন্স, ইমার্জিং দলের হিসাবে এটি তাদের সর্বোচ্চ তৃতীয় এশিয়া কাপের শিরোপা।
এসএইচ/এফএইচএম