এবারের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় গ্রিন

আর কয়েক ঘণ্টা পর আইপিএলের মিনি নিলাম। কে হতে যাচ্ছেন এবারের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড়, তা নিয়ে চলছে জল্পনা। প্রত্যাশার তালিকায় সবচেয়ে এগিয়ে আছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্যামেরন গ্রিন। গত আসরে ঋশাভ পান্তের ২৭ কোটি রুপির রেকর্ড ভেঙে দিবেন তিনি, এমনটা ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু নিলামে বিদেশি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে বিচিত্র নিয়ম করেছে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই।

মিনি নিলামে এর আগে রেকর্ড দামে বিক্রি হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার দুই তারকা পেসার প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্ক। ২০২৪ সালে বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে ছিল। ওইবার আইপিএল ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ২০ কোটি রুপি ছাড়ান কামিন্স, তাকে ২০ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে কেনে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্রায় এক দশক পর আইপিএল ফেরা স্টার্ক একই দিনেই ভেঙে দেন সেই রেকর্ড। তাকে ২৪  কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। তবে এবার আর কোনও বিদেশি ক্রিকেটারের এমন দাম পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

পূর্বের সেই অভিজ্ঞতা থেকে নতুন নিয়ম করা হয়েছে। মিনি নিলামে বিদেশি ক্রিকেটারেরা যাতে অস্বাভাবিক দাম না পান, সেটা নিশ্চিত করতে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের পক্ষ থেকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে এরকম নিয়ম প্রণয়নের অনুরোধ করা হয়েছিল।

বোর্ডের নতুন নিয়মে আইপিএলের আয়োজকরা নির্দিষ্ট অঙ্কের বাইরে বিদেশি খেলোয়াড়দের বেশি পারিশ্রমিক দিতে পারবেন না। কলকাতা ও চেন্নাই সুপার কিংস ৪০ কোটি রুপির বেশি বাজেট নিয়ে নামবে। কিন্তু দর কষাকষি শেষে কোনো বিদেশি খেলোয়াড়কে ১৮ কোটি রুপির বেশি দিতে পারবে না তার ফ্র্যাঞ্চাইজি। তবে এর চেয়ে বেশি দামে কেনা হলে বাকি রুপি খরচ করা হবে ক্রিকেটারদের উন্নতিতে।

নিয়ম করে দেওয়া হয়েছে, মিনি নিলামে কোনো বিদেশি ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ দাম রিটেন করা ক্রিকেটারদের মধ্যে যে বা যারা সর্বোচ্চ দাম পাবেন, তার চেয়ে কম হতে হবে। পাশাপাশি গত মেগা নিলামে সর্বোচ্চ দাম পেয়েছিলেন যিনি, সেই দাম দিয়েও মিনি নিলাম থেকে কোনও বিদেশি ক্রিকেটারকে কেনা যাবে না। বর্তমানে রিটেন করা ক্রিকেটারদের সর্বোচ্চ দাম ১৮ কোটি রুপি। আর মেগা নিলাম থেকে গতবার সর্বোচ্চ এবং রেকর্ড ২৭ কোটি রুপিতে লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে বিক্রি হয়েছিলেন পান্ত। এবার বিদেশি ক্রিকেটাররা কেউ তার চেয়ে বেশি দাম পাবেন না। 

মানে মিনি নিলামে কোনো বিদেশি ক্রিকেটারের দাম ১৮ কোটি রুপি ছাড়াবে না। তবে সেই দাম যদি কোনো কারণে ছাড়িয়ে যায়, তাহলে ওই ক্রিকেটারকে ১৮ কোটি রুপি দিয়ে বাকি টাকা ক্রিকেটারদের উন্নতির জন্য তৈরি হওয়া তহবিলে জমা পড়ে যাবে।

যেমন গ্রিন যদি নিলামে ২৫ কোটি রুপিতে বিক্রি হন, তাহলে তিনি ১৮ কোটি রুপির বেশি পাবেন না। বাকি সাত কোটি রুপি জমা পড়বে প্লেয়ার্স ওয়েলফেয়ার ফান্ডে। 

এফএইচএম/