ঘরের মাঠে সেঞ্চুরি করেছেন ক্যারি

অ্যাশেজ সিরিজ নিশ্চিত করার লড়াইয়ে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়া দিন শেষ করেছে ৮ উইকেটে ৩২৬ রানে। অ্যাডিলেডে প্রথম দিন শেষে নিশ্চিতভাবেই ভালো অবস্থানে তারা। কিন্তু দিনের শেষটা দেখে বোঝা যাবে না, তারা কতটা বিপদে পড়েছিল। দুই সেশনের শুরুতে জোড়া ধাক্কায় ধস নেমেছিল অজিদের টপ অর্ডারে। সেখান থেকে স্বাগতিকদের টেনে নিরাপদ অবস্থানে নেন প্রথমে উসমান খাজা, পরে অ্যালেক্স ক্যারি।

দশম ওভারের মধ্যে ছয় বলে দুই ওপেনারের বিদায়। জোফরা আর্চারের বলে জেক ওয়েদারাল্ড (১৮) ও ব্রাইডন কার্সের শিকার হন ট্রাভিস হেড (১০)।

তারপর ক্রিজে নামেন খাজা, যার এই ম্যাচে খেলারই কথা না। প্রথম দুই ম্যাচের অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ অসুস্থতার কারণে বাদ পড়লে তিনি একাদশে শেষ মুহূর্তে ঢোকেন। হতাশ করেননি খাজা, মার্নাস লাবুশেনকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৬১ রানের জুটি গড়েন তিনি। ২৫তম ওভারে এই জুটি ভেঙে আবার অস্ট্রেলিয়াকে বিপদে ফেলেন আর্চার। লাবুশেনেকে ফেরানোর পর তিন বলের মধ্যে ক্যামেরন গ্রিনকে নিজের তৃতীয় শিকার বানান ইংল্যান্ডের পেসার।

৯৪ রানে চার উইকেট পড়ার পর ক্যারি ও খাজা স্বস্তি ফেরান। যদিও তাদের জুটি সেঞ্চুরি ছুঁতে পারেনি। ১২৬ বলে ১০ চারে ৮২ রান করে উইল জ্যাকসের শিকার হন খাজা, ভাঙে ৯১ রানের জুটি।

তারপর জশ ইংলিস ও মিচেল স্টার্ককে নিয়ে পঞ্চাশ ছাড়ানো দুটি কার্যকরী জুটি গড়েন ক্যারি। ব্রিসবেনে ৬৩ রান করা এই কিপার ব্যাটার এবার তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছান। ৭৮তম ওভারে এই বাঁহাতি ব্যাটার আউট হওয়ার আগে ১৪৩ বলে ১০৬ রান করেন ৮ চার ও ১ ছয়ে। ঘরের মাঠে ১৩৫ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন ক্যারি।

ক্যারির সঙ্গে ইংলিস ৫৯ ও স্টার্ক ৫০ রানের জুটি গড়েন। দীর্ঘদিন পর মাঠে নেমে প্যাট কামিন্স ব্যাট হাতে ১৩ রানের বেশি করতে পারেননি। ইংলিস ৩২ রানে জশ টাংয়ের শিকার হন। স্টার্ক ও নাথান লিয়নের অপরাজিত জুটিতে দিন শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া। স্টার্ক অপরাজিত ৩৩ রানে, ১৮ বল খেলে রানের খাতা খোলার অপেক্ষায় লিয়ন।

ইংল্যান্ডের পক্ষে আর্চার ৩ উইকেট নেন। উইল জ্যাকস ও ব্রাইডন কার্স পান দুটি করে উইকেট।

এফএইচএম/