কাভেম হজের সেঞ্চুরি উদযাপন

নিউজিল্যান্ডের ৫৭৫ রানের পাহাড়ে ওঠা ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য কঠিন হলেও লড়াই থেকে সরে দাঁড়ায়নি। টপ অর্ডার ব্যাটারদের কল্যাণে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে স্বাগতিকদের সঙ্গে ব্যবধান বেশ কমিয়ে এনেছে তারা, যাতে বড় অবদান কাভেম হজের। তার সেঞ্চুরিতে দিন শেষে উইন্ডিজের রান ৬ উইকেটে ৩৮১। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে প্রথম ইনিংসে তারা পিছিয়ে ১৯৪ রানে। 

প্রায় এক বছর পর নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে টেস্টে ফিরেছেন হজ। আগের ১৫ ইনিংসে মাত্র দুইবার ত্রিশের ঘর পার করে হোম সামারে বাদ পড়েন ৩২ বছর বয়সী ব্যাটার। প্রত্যাবর্তনের পর দ্বিতীয় ম্যাচে দলের ত্রাতা হয়ে উঠলেন। মন্থর এক ইনিংস খেলে পেয়ে গেলেন সেঞ্চুরি। তাতে তৃতীয় দিন শেষে ম্যাচের ফল ড্রয়ের প্রবল সম্ভাবনা বাড়াচ্ছে।

তবে দুটি উইকেট নিয়ে অনিশ্চয়তা ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে। শুক্রবার পুরোটা দিন শাই হোপ হোটেলে ছিলেন। তিনি অসুস্থ এমনটাই শোনা গেছে। একের পর এক সতীর্থ ক্রিজে নামলেও তাকে ব্যাটিংয়ে দেখা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে গুরুতর অসুস্থ তিনি। প্রথম দিনে হ্যামস্ট্রিং চোটে পড়া কেমার রোচও খেলবেন কি না, তা অজানা।

সেই অনিশ্চয়তা ঘিরে ধরলেও মাঠে থাকা নিউজিল্যান্ডের বোলার-ফিল্ডারদের ঘাম ঝরিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিনা উইকেটে ১১০ রানে দিনের খেলা শুরু করে তারা। দিনের দ্বিতীয় ওভারে আর এক রান যোগ করে এই জুটি ভাঙে। জন ক্যাম্পবেলকে (৪৫) থামান জ্যাকব ডাফি। ৫৫ রানে দিন শুরু করা ব্র্র্যান্ডন কিংও ৬৩ রানে এই কিউই পেসারের শিকার হন।

তারপর হজ হাল ধরেন। তেভিন ইমলাচ, আলিক আথানেজ ও জাস্টিন গ্রিভসের সঙ্গে পঞ্চাশ ছাড়ানো তিনটি জুটি করেন ডানহাতি ব্যাটার। গ্রিভসের (৪৩) সঙ্গে ৮১ রান যোগ করেন তিনি পঞ্চম উইকেটে। ইলমাচ (২৭) ও আথানেজকে (৪৫) নিয়ে তোলেন যথাক্রমে ৬৬ ও ৬১ রান।

৯০ এর ঘরে যেতে অস্বস্তিবোধ করতে থাকেন হজ। ৯৭ এ গিয়ে তো আউট হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। দ্রুত দুটি রান নেন তিনি। ৯৯ হওয়ার পর স্কয়ার লেগ বাউন্ডারি দিয়ে চার মেরে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেন। ২২৪ বলে ১৩ চারে শতকে পৌঁছান। ২০১৯ সালে স্পোর্টস সায়েন্সে ডিগ্রিধারী হজ দিন শেষেও অটল থেকেছেন। ২৫৪ বলে ১৪ চারে ১০৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ৩০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ার পথে অ্যান্ডারসন ফিলিপ ১২ রানে অপরাজিত ছিলেন। তার ৫৫ বলের ইনিংসে চার একটি। 

এফএইচএম/