বিশ্বকাপের আগে ছোট পরিসরে ক্যাম্প করবে বাংলাদেশ দল
আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে বিপিএল শুরু হতে যাচ্ছে, চলবে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। এর দিন পাঁচেক পর (২৮ জানুয়ারি) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে ভারতের উদ্দেশে রওনা করবে বাংলাদেশ দল। তবে মেগা টুর্নামেন্টটির প্রস্তুতির লক্ষ্যে মাঝে কয়েকদিন লিটন দাসের দল অনুশীলন ক্যাম্প করবে। যদিও বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিমের মতে, বিপিএলই মূলত বাংলাদেশের বিশ্বকাপ প্রস্তুতির সবচেয়ে বড় মঞ্চ।
আজ (সোমবার) এক অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের সামনে ফাহিম বলেন, ‘বিপিএলে অংশ নেওয়া প্রায় সব সম্ভাব্য বিশ্বকাপ খেলোয়াড়ই প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে থাকবে। বিপিএল শেষ হওয়ার পর হাতে সময় কম থাকলেও পরিকল্পনা সাজানো আছে। টপ ফোরে না যাওয়া দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে আগেভাগেই ছোট পরিসরে অনুশীলন শুরু হবে। কোচিং স্টাফ এসে তাদের সঙ্গে কাজ করবেন। খুব সম্ভবত ২০ তারিখ (ডিসেম্বর) থেকে যারা ফ্রি হয়ে যাবে, যেসব দল টপ ফোরে যাবে না যেসব দলের খেলোয়াড়দের আস্তে আস্তে প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে যাবে। কোচরা এসে তাদের নিয়ে কাজ করবে।’
বিজ্ঞাপন
বিপিএল শেষে বাকিরাও ক্যাম্পে যোগ দেবেন বলে জানান ফাহিম, ‘যে মুহূর্তে বিপিএলের খেলা শেষ হবে, তারপর বাকি খেলোয়াড়দের নিয়ে ছোট করে ২-৩ দিনের জন্য হলেও একটা প্রোগ্রাম হবে এখানে। তারপর আমাদের চেষ্টা আছে ২৮ জানুয়ারির দিকে দল চলে যাবে বেঙ্গালুরুতে। ওখানে একটু ট্রেনিং করে বেঙ্গালুরুতে আমাদের দুটো প্র্যাকটিস ম্যাচ আছে বিশ্বকাপের আগে নির্ধারিত। সেই প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলে আমরা কলকাতায় আসব, আমাদের ওয়ার্ল্ডকাপের ম্যাচ খেলতে।’
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতাই এখন দলের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ বলেও দাবি বিসিবির এই পরিচালকের, ‘সাইফ হাসান দলে আসার পর টপ অর্ডারে কিছুটা ধারাবাহিকতা বেড়েছে। (পারভেজ) ইমন ও (তানজিদ) তামিমকে নিয়েও কোচরা আলাদা করে কাজ করেছেন। যদিও ব্যক্তিগতভাবে সবাই ভালো খেলতে পারেন, তবে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দেখানোই এখন মূল লক্ষ্য।’
বিপিএল এবং বিশ্বকাপ পরপর থাকায় খেলোয়াড়দের শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে নাজমুল আবেদিন ফাহিম জানান, ‘আমরা নিয়মিত মনিটরিংয়ের মধ্যে রাখব আমাদের প্লেয়ারদের, বিশ্বকাপের যারা সম্ভাব্য খেলোয়াড় আছে খেলবে। তাদের দিকে আমাদের নজর থাকবে। আমাদের ফিজিও বা ট্রেনার যারা আছেন...আমাদের অ্যানালিস্ট এদের কন্টিনিউয়াস সাপোর্ট থাকবে ওদের জন্য।’
‘আমার মনে হয় যে এরকম (বাড়তি ওয়ার্কলোড) কোনো কেস হলে আমরা দলের সঙ্গে যোগাযোগ করব, দলের সঙ্গে আলোচনা করব। কারণ আলটিমেটলি বিশ্বকাপে ভালো পারফর্ম করাটা খুব জরুরি। সেক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের বেস্ট ফর্মে থাকা হেলথওয়াইজ পারফরম্যান্স খুব জরুরি। আমি বিশ্বাস করি দলগুলো আমাদেরকে সেভাবে সাপোর্ট দেবে’, আরও যোগ করেন ফাহিম।
এসএইচ/এএইচএস