আইএল টি২০ ছেড়ে দেশে ফিরছেন ফিজ-তাসকিন, কে কেমন পারফর্ম করলেন
ইন্টারন্যাশনাল লিগ (আইএল) টি-টোয়েন্টির জন্য ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনাপত্তিপত্র (এনওসি) পেয়েছিলেন বাংলাদেশের দুই তারকা পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ। চলমান আসরে তাদের ফ্র্যাঞ্চাইজির খেলা বাকি থাকলেও গতকাল (বুধবার) তারা নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটসংগ্রাহক হিসেবে দেশে ফিরছেন ফিজ।
আইএল টি-টোয়েন্টিতে শীর্ষ উইকেটসংগ্রাহক হওয়ার সুযোগ ছিল বাঁ-হাতি এই কাটার মাস্টারের সামনে। তবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বাদশ আসর আসন্ন। ২৬ ডিসেম্বর সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের পর্দা উঠবে। সে কারণে আমিরাত ছেড়ে দেশে ফিরতে হচ্ছে তাসকিন-মুস্তাফিজ উভয়কেই। আইএল টি-টোয়েন্টির মতো বিপিএলেও জাতীয় দলের দুই তারকাকে ভিন্ন দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজির জার্সিতে দেখা যাবে।
বিজ্ঞাপন
আমিরাতের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটিতে ইতোমধ্যে ৯ ম্যাচে পঞ্চম জয়ের পর ১০ পয়েন্ট নিয়ে তিনে থেকে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে মুস্তাফিজের দুবাই ক্যাপিটালস। যেখানে দুর্দান্ত ভূমিকা ছিল ৩০ বছর বয়সী এই বাংলাদেশি তারকার। এই মুহূর্তে ফিজ টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটসংগ্রাহক। ৮ ম্যাচে ৮.০৮ ইকোনমিতে ১৫ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। তারচেয়ে ২ উইকেট (১৭) বেশি নিয়ে তালিকার শীর্ষে মুস্তাফিজের সতীর্থ ওয়াকার সালামখিল। তবে আফগানিস্তানের এই বোলার এক ম্যাচ বেশি খেলেছেন।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে, তাসকিনের আইএল টি-টোয়েন্টির আসর শুরু হয়েছে দেরিতে। প্রথম কয়েক ম্যাচ তিনি বেঞ্চে কাটিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ৬ ম্যাচে ৮.৭৫ ইকোনমিতে তার শিকার ৯ উইকেট। তিনি রয়েছেন সর্বোচ্চ উইকেটসংগ্রাহকের তালিকায় যৌথভাবে ১০ নম্বরে। একইভাবে তাসকিনের দলের অবস্থাও সুখকর নয়। সমান ম্যাচে ৬ পয়েন্ট শারজাহ ওয়ারিয়র্স টেবিলের তলানিতে (৬ নম্বরে) অবস্থান করছে। তাদের প্লে-অফ খেলার সুযোগ টিকে আছে কেবল হাতে-কলমে।
গতকাল আইএল টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের শেষ ম্যাচে দুই বাংলাদেশি তারকা পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছেন। যেখানে শেষ হাসি হেসেছেন মুস্তাফিজ, তুলনামূলক ভালো বোলিং–ও করেছেন তিনি। তাসকিনের শারজাহ ওয়ারিয়র্স ১৩৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল, যা ৫ বল এবং ৬ পেরিয়েছে ফিজের দুবাই ক্যাপিটালস। ৪ ওভারে ১ উইকেটের বিনিময়ে ২৯ রান দিয়েছেন। শেষ ওভারে ১২ রান না দিলে তার বোলিং ফিগার আরও ভালো হতে পারত। বিপরীতে তাসকিন সমান রান খরচ করে ১ উইকেট শিকার করেছেন, তবে বোলিং করেন ৩.১ ওভার।
এএইচএস