পাঁচ উইকেট নেন গ্রিন

মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ব্যাটারদের নাকানিচুবানি খেতে হলো। জশ টাংয়ের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ১৫২ রানে অলআউট হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ১১০ রানে ইংল্যান্ড গুটিয়ে যায়। বোলারদের বিধ্বংসী পারফরম্যান্সের দিনে অ্যাশেজে ইতিহাসের পাতায় ঢুকে গেল বক্সিং ডে টেস্ট।

২০- অ্যাশেজ টেস্টে প্রথম দিনে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটের পতন। দুই দলের লড়াইয়ে সবশেষ এই ঘটনা ঘটেছিল ১৯০৯ সালে ওল্ড ট্রাফোর্ডে। অস্ট্রেলিয়ায় টেস্টের প্রথম দিনে যৌথভাবে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ। 

১৮৯৪/৯৫ অ্যাশেজে একই ভেন্যুতে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৯৩১/৩২ মৌসুমে প্রথম দিনে ২০ উইকেট পড়েছিল। ১৯০১/০২ অ্যাশেজে মেলবোর্নে প্রথম দিনে পড়েছিল ২৫ উইকেট। ১৯৫১/৫২ মৌসুমে অ্যাডিলেড ওভালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও স্বাগতিকদের ম্যাচে প্রথম দিনে ২২ উইকেট পড়েছিল।

১৫২- ২০০০ সালের পর ঘরের মাঠে অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার ঘটনা। ২০১০/১১ মৌসুমে একই ভেন্যুতে ৯৮ ও গত মাসে পার্থে ১৩২ ও ২০১৭/১৮ মৌসুমে অ্যাডিলেডে ১৩৮ রানের পর এটাই সবচেয়ে কম দলীয় সংগ্রহ।

২০০০ সালের পর এনিয়ে তৃতীয়বার হোম অ্যাশেজ টেস্টে অস্ট্রেলিয়া ৫০ ওভারের মধ্যে অলআউট হলো। ২০১০ সালে একই ভেন্যুতে ৪২.৫ ওভারে ৯৮ ও পার্থে ৪৫.২ ওভারে চলতি সিরিজে থেমেছিল অজিরা।

১১০- ২০০০ সালের পর থেকে অ্যাওয়ে অ্যাশেজ টেস্টে ইংল্যান্ডের তৃতীয় সর্বনিম্ন রান। ২০২১ সালে একই ভেন্যুত ৬৮ ও ২০০২ সালে গ্যাবায় ৭৯ রানে অলআউট হয়েছিল তারা।

৪৫১ বল- দুই দল তাদের প্রথম ইনিংস মিলিয়ে ৭৫.১ ওভার খেলেছে, অ্যাশেজ টেস্টে যা দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। ১৯০১/০২ মৌসুমে একই ভেন্যুতে মাত্র ২৮৭ বলের খেলা হয়েছিল, যা টেস্ট ইতিহাসেও সর্বনিম্ন।

৪২- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে আগে ব্যাটিং করে ১৭৫ রানের মধ্যে অলআউট হয়েও প্রথম ইনিংসে পঞ্চম সর্বোচ্চ রানের লিড নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

২১২- টেস্টে ফিল্ডার হিসেবে স্টিভ স্মিথের ক্যাচ। রাহুল দ্রাবিড়ের ২১০ ক্যাচ পেছনে ফেলেছেন তিনি, বর্তমানে যেখানে শীর্ষে জো রুট (২১৪)। 

৫/৪৫- একবিংশ শতাব্দিতে প্রথম ইংল্যান্ড বোলার হিসেবে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে পাঁচ উইকেট নিলেন জশ টাং। সবশেষ এই কীর্তি হয়েছিল ১৯৯৮ সালে- ড্যারেন গফ ও ডিন হেডলির সেই সাফল্যে ১২ রানে জিতেছিল ইংল্যান্ড।

এফএইচএম/