তাসকিন আহমেদ

২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক তাসকিন আহমেদের। এরপর বাংলাদেশের হয়ে বাকি দুই ফরম্যাটেও খেলেছেন তিনি। সাত বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে কখনো জিম্বাবুয়ে যাওয়া হয়নি ২৬ বছর বয়সী এই ডানহাতি পেসারের। এবার সে সুযোগ মিলেছে তাসকিনের। অভিজ্ঞতার খাতায় যোগ হচ্ছে আরও একটি অর্জন। যা নিয়ে বেশ রোমাঞ্চিত তিনি।

হারারে থাকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় তাসকিন বলেন, ‘আসলে আমি খুবই এক্সাইটেড। খুবই ভালো লাগছে, প্রথমবারের মতো জিম্বাবুয়ে আসলাম। যদিও আমার অভিষেক হয়েছে ২০১৪-তে। কিন্তু এ ৭ বছরের মধ্যে কখনোই আমার জিম্বাবুয়েতে আসা হয়নি। প্রথমবারের মতো আসলাম। অবশ্য আমাদের জৈব সুরক্ষা বাবলের মধ্যে থাকতে হচ্ছে। তবে সব সুযোগ-সুবিধা মিলিয়ে আমি উপভোগ করছি। আমি রোমাঞ্চিত যে কখন খেলা শুরু হবে।’

৭ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক দেশ থেকে আরেক দেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন তাসকিন। টেস্ট খেলুড়ে ১২টি দেশের মধ্যে আফগানিস্তানে কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয় না। বাকি সবগুলো দেশে খেলতে গেলেও পাকিস্তান আর জিম্বাবুয়ে যাওয়া হয়নি তার। পাকিস্তানে তো দীর্ঘদিন ক্রিকেট বন্ধই ছিল। ২০২০ সালে শেষ যেবার বাংলাদেশ দল সেখানে যায়, তখন দলে ছিলেন না তাসকিন।

বাংলাদেশ দল সবশেষ জিম্বাবুয়ে খেলে এসেছে ২০১৩ সালে। তখন অভিষেক ক্যাপ মাথায় তোলা হয়নি তাসকিনের। এবার সে সুযোগ পেয়েছেন তিনি। জিম্বাবুয়ে সফরে পূর্ণাঙ্গ সিরিজের তিন ফরম্যাটের দলেই আছেন এই গতি তারিকা। সম্প্রতি বল হাতে বেশ ছন্দেও আছেন তাসকিন। নিখুঁত লাইন-লেংথ আর আগ্রাসনে আলাদা করে নজর কেড়েছেন। এতেও তৃপ্ত নন, এখনো উন্নতির জায়গা দেখছেন তিনি।

তাসকিন জানালেন, ‘আল্লাহ্‌র রহমতে আগের চেয়ে ভালো হচ্ছে। কিন্তু এখনও উন্নতির জায়গা আছে। উন্নতি হচ্ছে। আমি আসলে মাঠের বাইরের প্রক্রিয়াটা সবসময় ফলো করছি। ওটাই আমার নিয়ন্ত্রণে আছে শতভাগ দেওয়ার। তো সেটাই আমি দিয়ে যাচ্ছি।’

আরও বলেন তাসকিন, ‘আল্লাহ্‌ যদি চায়, এভাবে যদি উন্নতি করতে পারি আরও, তাহলে ভবিষ্যতে ভালো কিছু হবে এবং এ সিরিজ নিয়েও ভালো কিছু হওয়ার আশাবাদী আমি।’

টিআইএস/এমএইচ