গত বছর ফিফার নির্দেশনায় বাংলাদেশে ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) একাডেমি অ্যাক্রিডিটেশন কার্যক্রম শুরু করেছে। এক বছর পর গতকাল আরও ২৪টি একাডেমি নিবন্ধিত হলো বাফুফেতে। ‘একাডেমি অ্যাক্রিডিটেশন স্কিম’এর আওতায় দেশের বিভিন্ন একাডেমিগুলোর নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। 

এখন সারা দেশে বাফুফের নিবন্ধিত একাডেমি ১০২টি। এর মধ্যে ১টি দুই-তারকা এবং ১০১টি এক-তারকা গ্রেডের। এর আগে বাফুফে প্রথম ধাপে ৭৭টি একাডেমিকে এক-তারকা ও একটিকে দুই-তারকা গ্রেড দিয়েছিল। বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালিত এই ফুটবল একাডেমিগুলোকে নিজেদের অধীনে আনতে পুরো দেশ থেকে একটি তালিকা সংগ্রহ করেছিল বাফুফে। দেশের প্রত্যেকটি জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (ডিএফএ) মাধ্যমে এই তালিকা সংগ্রহ করে তার মধ্য থেকে বাছাই করে নিবন্ধন দিচ্ছে বাফুফে। 

যশোরের শামসুল হুদা একাডেমি, মাগুরার আসাদুজ্জামান একাডেমি থেকে অনেক ফুটবলার উঠে এসেছে।  সেই দুই একাডেমি বাফুফের নিবন্ধনের বাইরে ছিল। এর কারণ প্রসঙ্গে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন, ‘নিঃসন্দেহে ওই দুই একাডেমি আমাদের ফুটবলে অনেক যোগান দিচ্ছে। তারা আমাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন করেনি এজন্য নিবন্ধন পায়নি।’ 

করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাফুফের তৃণমূলের কোচরা নিবন্ধিত প্রতিটি একাডেমিতে গিয়ে তদারকি করবে। একাডেমিগুলোর কার্যক্রম বাফুফের গাইডলাইন অনুসারে পরিচালিত হলে সেগুলোকে পরবর্তী বছরের জন্য নিবন্ধন নবায়ন করা হবে। 

বাফুফের অধিভুক্ত একাডেমিগুলো কোচিং, রেফারিংসহ অন্যান্য কোর্সে বিশেষ ছাড় পাবে৷ এছাড়া প্রয়োজন ও গুরুত্ব অনুসারে বাফুফে লজিস্টিক সাপোর্ট দেবে এই একাডেমিগুলোকে। 

বাফুফের টেকনিক্যাল ও ডেভেলপমেন্ট উভয় কমিটির তত্ত্বাবধানে হচ্ছে এই একাডেমি অ্যাক্রিডিটেশন স্কিম। দুই কমিটির সমন্বয়ে কোনো সমস্যা দেখছেন না ব্রিটিশ ট্যাকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি, ‘দুই কমিটির সাথে সমন্বয় করেই কার্যক্রম হচ্ছে। উভয় কমিটি প্রয়োজনীয় সহায়তা করছে।’

এজেড/এমএইচ