সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল/ছবি: সংগৃহীত

বাইশ গজে বাংলাদেশ দলের হয়ে একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েন সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। দুজনে বেশ ভালো বন্ধুও। তবে বর্তমান সময়ে এই দুই ক্রিকেটারের সম্পর্ক নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে ধোঁয়াশা চলছে। তবে সে সময় অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন সাকিব-তামিম দুজনই। রোববার বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে মুখোমুখি হয় তারা। তামিমকে দীর্ঘক্ষণ বল করেন সাকিব।

বাংলাদেশের জার্সিতে সাকিবের আন্তর্জাতিক অভিষেক ২০০৬ সালের মাঝামাঝি। ২০০৭ দালের ফেব্রুয়ারিতে লাল-সবুজের জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন তামিম। এরপর একসঙ্গে পথ চলা। বাইশ গজে প্রতিপক্ষে বধে ছক এঁকেছেন। তবে কিছুদিন আগে তামিম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি লাইভ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। সেখানে অন্যান্য তারকা ক্রিকেটাররা থাকলেও ছিলেন না সাকিব। এরপরই শুরু হয় গুঞ্জন।

সমর্থকদের ধারনা, বাইশ গজের বাইরে দুই বন্ধুর জুটিটা আগের মতো জমছে না। তবে সেসব উড়িয়ে দিয়েছেন দুজনই। রোববার (১০ জানুয়ারি) তো অনুশীলনে নেমে একে অন্যের মুখোমুখি হলেন। প্রত্যয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দলের জয়ে অবদান রাখা।

২০ জানুয়ারি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরু টাইগারদের। ৩ ম্যাচ ওয়ানডের পর দুইটি টেস্ট। দুই স্কোয়াডেই আছে সাকিব-তামিমের নাম। এজন্য রোববার আনুষ্ঠানিক অনুশীলন শুরু করেছে স্বাগতিক দল। এদিন সকাল ১০টায় শুরু হয় অনুশীলন। মিনিট বিশেক পর মিরপুরের ইনডোরের নেটে ব্যাট-বল হাতে নামেন তারা।

এখানে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে স্পিনারদের বিপক্ষে ব্যাটিং অনুশীলন করেন তামিম। সেখানেই নিয়মিত বল করতে দেখা যায় সাকিবকে। নিজের পছন্দমত জায়গায় বল করতে না পেরে কখনো হতাশ হন সাকিব, তো কখনো আবার সাকিবকে ভুলটা ধরিয়ে দেন তামিম নিজে। 

নেটে সাকিবের সঙ্গে তামিমকে বল করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজরা। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলে এই অনুশীলন। হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো ছাড়া স্পিন বিভাগের দায়িত্ব পাওয়া সোহেল ইসলাম পুরো সময় দাঁড়িয়ে ব্যাটসম্যান আর বোলারদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেন।

টিআইএস/এনইউ//এটি