তামিম-মিঠুনদের ব্যাটে বড় পুঁজি বাংলাদেশের
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ২৯৬/৬, ৫০ ওভার (তামিম ৬৬, মিঠুন ৩৯, সাকিব ৩৭, মোসাদ্দেক ৩৬, আফিফ ২৮; মাধেভেরে ২/১২, চিসোরো ২/ ৪৪)
বিজ্ঞাপন
পারিবারিক কারণে জিম্বাবুয়ে থেকে দেশে ফিরে আসছেন মুশফিকুর রহিম। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে খেলছেন না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বাকিদের মধ্যে লিটন দাস ছাড়া প্রায় সবাই রানের দেখা পেয়েছেন। তবে তামিম ইকবাল অর্ধশতক হাঁকালেও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ সাকিব আল হাসান, নাঈম শেখ।
আগামী ১৬ জুলাই স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নামবে টাইগাররা। সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ আগামী ১৮ ও ২০ জুলাই। টেস্ট সিরিজ শেষ করেই সাদা বলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচই ভারসা সফরকারীদের। এজন্য আজ (বুধবার) জিম্বাবুয়ে এককদশের মুখোমুখি হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। হারারের তাকাসিঙ্গা স্পোর্টস ক্লাব মাঠে আগে ব্যাট করে ২৯৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
বিজ্ঞাপন
ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন সফরকারী দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। হাঁটুর ইনজুরির কারণে একমাত্র টেস্ট খেলতে পারেননি। এখনও শঙ্কা না কাটলেও অন্তত ওয়ানডে সিরিজটি খেলতে চান তামিম। ফিটনেস পরখ করতে প্রস্তুতি ম্যাচের দিকে তাকিয়ে ছিলেন বাঁহাতি ওপেনার। তাতে সফলই বলতে হবে তামিমকে। অস্বস্তি ছাড়াই প্রায় ১০ ওভার ব্যাট করেছেন।
এদিন তামিম একাই খেলেছেন ৬২ বল। ফিফটি পূর্ণ করে ৬৬ রান করে আউট হন তামিম। যেখানে ১১টি চারের সঙ্গে ছক্কা মারেন ১টি। তবে তামিম যতটা সাবলীল ছিলেন, তার ওপেনিং পার্টনার নাঈম শেখ ততটাই খোলসবন্দি ছিলেন। ২৫ রান করে আউট হন ৫২ বল খেলে।
ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করে চার নম্বরে নেমে সুবিধা করতে পারেননি লিটন। ২ রানে কাটা পড়েন তিনি। সাকিব অবশ্য বড় রানের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তবে এ যাত্রায় ব্যর্থই বলতে হবে তাকে। রানের জন্য সংগ্রহ করতে থাকা এই অলরাউন্ডার ইনিংস বড় করতে পারলেন না। আউট হন ৩৭ রান করে। যেখানে ৬০টি বল খেলে মাত্র একটি বাউন্ডারি আসে তার ব্যাট থেকে। যা একেবারেই সাকিবসুলভ নয়।
মোহাম্মদ মিঠুন আর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন। মিঠুন ৩৯ ও সৈকত ৩৬ রান করে স্বেচ্ছায় অবসরে যান বাকি ব্যাটসম্যানদের অনুশীলনের সুযোগ করে দিতে। শেষদিকে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে আফিফ থামেন ২৮ রান করে। ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেলেও নুরুল হাসান সোহান নামেন শেষেরদিকে। ১২ বলে ১৮ রান করেন তিনি।
শেষদিকে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ১০ বলে অপরাজিত ১২ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ২৯৬ রান। সব মিলিয়ে ব্যাটিং অনুশীলন একেবারেই মন্দ হলো না সফরকারীদের। এবার পালা বোলারদের।
টিআইএস/এটি