অলরাউন্ডিং নৈপুণ্য দেখিয়ে ম্যাচসেরার পুরষ্কার জিতেছেন অ্যাগার (বামে)/ক্রিকইনফো

সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৫২, ৪৫.১ ওভারে (লুইস ৫৫; স্টার্ক ৪৩-৩, হেইজেলউড ১৮-২, জ্যাম্পা ২৯-২, অ্যাগার ৩১-২)
অস্ট্রেলিয়া: 
১৫৩/৪ (ওয়েড ৫১*, অ্যাগার ১৯*; কটরেল ৩৪-১, আকিল ২৯-১, আলজারি ১৪-১, ওয়ালশ ৪১-১)
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৪ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: ৩ ম্যাচ সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ২-১ ব্যবধানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: অ্যাশটন অ্যাগার।
সিরিজসেরা: মিচেল স্টার্ক।

টি-টোয়েন্টিতে উইন্ডিজের কাছে নাকাল হওয়ার দুঃস্মৃতি ওয়ানডে সিরিজে এসে ভুলল অস্ট্রেলিয়া। শেষ ম্যাচে স্বাগতিকদেরকে তারা হারিয়েছে ছয় উইকেটে। তাতে বাংলাদেশ-যাত্রার ঠিক আগমুহূর্তের এই সিরিজটা ২-১ ব্যবধানে জিতেই শেষ করল অজিরা।

আগের দুই ম্যাচে জিতেছিল দুই দলই। শেষ ম্যাচটা তাই রূপ নিয়েছিল অঘোষিত ফাইনালে। তবে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমেই যেন ক্যারিবীয়রা পেয়ে গিয়েছিল অশনিসঙ্কেত। চতুর্থ ওভারেই এভিন লুইস ফেরেন রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে। জশ হেইজেলউডের লাফিয়ে ওঠা বলটা লিডিং এজ হয়ে আঘাত হানে তার হেলমেটে। ফলে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান উইন্ডিজ ওপেনার।

শেষ কিছু দিনে লুইসই হয়ে পড়েছেন দলের প্রধান ব্যাটিং ভরসা। সেই লুইসকে হারিয়ে উইন্ডিজ যেন কিছুটা দিশেহারাই হয়ে পড়ে। এরপর শেই হোপ, ড্যারেন ব্রাভো, নিকলাস পুরান আর কাইরন পোলার্ডরা হতাশই করেছেন দলকে, পারেননি দলের হাল ধরতে। ফলে ৭১ রানেই উইন্ডিজ হারায় ৫ উইকেট।

দলের এমন দুরবস্থায় লুইস ফিরলেন আবার। সেই থেকে খেলেছেন ৫৫ রানের ইনিংস। তাতে ধুঁকতে থাকা উইন্ডিজ ইনিংস শেষ করে ১৫২ রানে। পুরো সিরিজে আগুন ঝরানো মিচেল স্টার্ক এদিনও তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট। অ্যাশটন অ্যাগার, জস হ্যাজলউড ও অ্যাডাম জাম্পারা দুটো করে উইকেট তুলে নিয়ে উইন্ডিজের দুর্দশাকে বাড়িয়েছেন বেশ। 

চোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও অস্ট্রেলিয়া পাচ্ছিল বিপদের গন্ধ। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মোজেজ হেনরিকেস আর জশ ফিলিপকে কে তারা হারিয়েছিল মাত্র ২৭ রানেই। এরপর অ্যালেক্স ক্যারি ও মিচেল মার্শ আউট হন যথাক্রমে ৩৫ ও ২৯ রান করে। তবে ম্যাথিউ ওয়েডের অর্ধশতক আর তার সঙ্গে অ্যাগারের যোগ্য সঙ্গ আর কোনো বিপদ ঘটতে দেয়নি অস্ট্রেলিয়ার, তাতেই ৬ উইকেটে ম্যাচ, আর ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অজিরা। 

সিরিজ জয়ের পরও অবশ্য দম ফেলার ফুরসত নেই অজিদের। আগামী বৃহস্পতিবারই বাংলাদেশে পা রাখার কথা দলটির। তার আগে এই সিরিজ জয়টা নতুন চেহারার অস্ট্রেলিয়াকে বড় স্বস্তিই দেবে, তা বলাই বাহুল্য।