ঐতিহাসিক সিরিজ জয়। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয় বাংলাদেশের। তবে এমন উৎসবের পরেও আনন্দে ভেসে যাওয়ার বা বিজয় উল্লাসে মেতে থাকার খুব বেশি সুযোগ নেই, সিরিজের এখনো ২ ম্যাচ বাকি থাকার কারণে। জৈব সুরক্ষা বলয়ের জন্য সিরিজ জিতেও বাড়তি উন্মাদনা নেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলের।

বেশ সংক্ষিপ্ত সফরে বাংলাদেশে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। ১০ দিনের সফরে ৩ দিনের রুম কোয়ারেন্টাইন। বাকি ৭ দিনে ৫ ম্যাচ! গত ৩ আগস্ট শুরু হয়ে ৪ ও ৬ আগস্ট আরও দুই ম্যাচে মাঠে নেমেছে দুই দল। সিরিজের শুরুর ৩ ম্যাচই জিতে নিয়েছে টাইগাররা। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২৩ রানে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৫ উইকেটের জয় স্বাগতিকদের। শুক্রবার অজিদের ১০ রানে হারিয়ে ২ ম্যাচ হাতে রেখেই ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে লাল-সবুজেত প্রতিনিধিরা।

তবে সিরিজ জিতেও বিশ্রামের কোন সুযোগ নেই বাংলাদেশ দলের সামনে। আজ (শনিবার) সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে মাঠে নামতে হচ্ছে সাকিব আল হাসান, আফিফ হোসেনদের। পূর্বের তিন ম্যাচের মতো এই ম্যাচটিও হবে মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, সন্ধ্যা ৬টায়।

সিরিজ জয় নিশ্চিত হলেও বাকি দুই ম্যাচেই জয়ে চোখ বাংলাদেশের। অস্ট্রেলিয়াকে ছাড় দেওয়ায় কোনও মানসিকতা নেই মাহমুদউল্লাহদের। এমন কি আগের ৩ ম্যাচ জিতলেও মন্থর উইকেটে ব্যাটিংয়ের দৈন্যদশা ফুটে উঠেছে। সামনের দুই ম্যাচে আগের ভুলগুলো সুধরানোর দিকে মনোযোগ স্বাগতিক শিবিরের।

অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ জানিয়েছেন, ‘আমার মনে হয় যেরকম উইকেটে খেলা হচ্ছে এখানে বোলারদের দায়িতত্বটাই বেশি। ব্যাটিংটা আমাদের আরও ভালো করা উচিত। শেষ দুই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে উন্নতি চাই। ব্যাটিংয়ে আমাদের দায়িত্ব নিতে হবে। আমাদের সেই সামর্থ আছে। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে ব্যাটিংটা আরেকটু ভারো করতে পারি। কোনেভাবে ১০-১২ রান একটা চার, কয়েকটা দুই বা সিঙ্গেলের মাধ্যমে বের করতে পারি তাহলে দলের ব্যাটিং ইউনিট খুশি হবো।’

সঙ্গে যোগ করেন মাহমুদউল্লাহ, ‘এটা বোলারদেরও আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। তাহলে তাড়া ডিফেন্ড করতে পারবে। আমরা ৩-০ তে আছি। সিরিজ জিতেছে। আমাদের সুবর্ণ সুযোগ আগামী ম্যাচগুলোও জেতার।’

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে ১৭ সদস্যের স্কোয়াড হলেও দলে খেলোয়াড় কম, বিকল্প খেলোয়াড় বেশি। এতে একাদশে পরীক্ষা নিরীক্ষার সুযোগ খুব বেশি নেই। পরিবর্তন আসলে সেটি দেখা যেতে পারে ওপেনিং। সৌম্য সরকারের জায়গায় চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ পেতে পারেন মোহাম্মদ মিঠুন।

টিআইএস/এটি