অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড কেন ডাকে না- বিস্মিত বিসিবি
বিশ্ব ক্রিকেটে বেশ সমীহ জাগানিয়া দলে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। কিছুদিন আগেই ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে নাস্তানাবুদ করে ঐতিহাসিক সিরিজ জয় টাইগারদের। তবে এই সিরিজ সরাসরি সম্প্রচার করেনি অস্ট্রেলিয়ার কোনও টেলিভিশন চ্যানেল। বাংলাদেশ দলকে আতিথ্য দিতে তো রাজ্যের অনীহা অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের। বাণিজ্যিক স্বার্থ সামনে এনে সাকিব আল হাসানদের নিজ দেশে আমন্ত্রণ জানায় না তারা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বলছে, বাংলাদেশের ক্রিকেট প্যাশন আমলে নিয়ে হলেও আমন্ত্রণ জানানো উচিত তাদের।
আজ (রোববার) ১৫ আগস্টের শোক কর্মসূচি শেষে মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বোর্ডের মিডিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডে গিয়ে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলাটা আমরা আগে থেকেই ডিজার্ভ করি। এখন খেলে যে আমাদের প্রমাণ দিতে হবে তা না। প্রমাণ কিন্তু আমরা আগেই দিয়েছি। ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা কিন্তু খুবই কঠিন। আপনি এক বছর ভালো খেলবেন কিন্তু পরের বছর আপনার ভালো নাও হতে পারে। এটা কিন্তু মাপকাঠি না। মাপকাঠি হল যারা খেলছে তাদের শক্তিমত্তা কতটুকু, আমাদের প্যাশন কেমন, বাংলাদেশের ক্রিকেট কোথায় আছে এসব।’
বিজ্ঞাপন
সঙ্গে যোগ করেন তিনি, ‘আইসিসি আমাদের টেস্ট স্ট্যাটাস দেওয়ার অন্যতম কারণ ছিল মানুষের প্যাশন। এসব বিবেচনায় আনতে হবে। এমন নয় যে প্রতি বছর পারফর্ম করার পর ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া আমাদের ডাকবে। আমরা সেদিকে তাকিয়ে নেই। যেকোনো জায়গায় গিয়ে খেলার যোগ্যতা আমাদের আগেও ছিল, এখনও আছে। আমাদের সে সামর্থ্যও আছে। হয়ত তাদের দেশে সিরিজ কঠিন হয়। নিউজিল্যান্ডে সর্বশেষ সিরিজ কঠিন ছিল। কিন্তু আরেকবার সুযোগ পেলে ভালো করব। আমাদের যাওয়া কিন্তু বন্ধ করা যাবে না।’
সর্বশেষ ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়া ও ২০১০ সালে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ডে গিয়েছিল বাংলাদেশ। অথচ ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল সময়কালেই ৩ বার বাংলাদেশ দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড। কিউদের সঙ্গে বাংলাদেশের সমর্থকদের ক্রিকেট প্যাশনের পার্থক্য তুলে ধরেন জালাল ইউনুস।
বিজ্ঞাপন
জালাল ইউনুস বললেন, ‘নিউজিল্যান্ডে ওদের নামকরা ক্রিকেটার রাস্তা দিয়ে গেলেও কেউ চেনে না, কথাও বলে না। এখন আমাদের মূল একাদশের একটা খেলোয়াড় বাইরে গেলে, রাস্তায় গেলে কত ভিড় হয়ে যাবে। কারণ, এখানকার মানুষের প্যাশন। বাংলাদেশের ১৮ কোটি জনগণের এটা প্যাশন। স্বদিচ্ছা থাকলে ইনভাইট করতে পারে। আমি মনে করি যেসব জায়গায় দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে আমরা যাচ্ছি না, সে সব জায়গায় কিন্তু তারা আমাদের ডাকতে পারে। আমি আবারও বলছি এটা আমরা ডিজার্ভ করি।’
টিআইএস/এটি