প্রায় এক যুগ ধরে আছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির দায়িত্বে। আরও এক মেয়াদ কি এই পদে থাকবেন নাজমুল হাসান পাপন? বিসিবির বার্ষিক সাধারণ সভায় পাপনের ‘চিকিৎসক দূরে থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন’ এমন বক্তব্যের পর নতুন করে আলোচনা শুরু হয় এ নিয়ে। 

বুধবার মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি চলাকালীন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন পাপন। সেখানে জানিয়েছেন, এখন অবধি সভাপতি থাকার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি তিনি। তবে সবাই চাইলে ভেবে দেখবেন।

সভাপতি হচ্ছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে পাপন বলেছেন, ‘পরিচালক হতে পারি, সভাপতি নাও হতে পারি। এবার নির্বাচনটা উন্মুক্ত রাখতে চাচ্ছি।’ 

তিনি বলেন, ‘আমার সমস্যাটা হচ্ছে, এখন সভাপতি হিসেবে কাজের চাপটা এত বেশি যে সেটা আমি চাচ্ছি না। আমি এটা উপভোগ করি কিন্তু এই পুরো সময়টা দেওয়া সামনে প্রায় অসম্ভব। যদি সময় না দিই তবে বোর্ড ভুগবে, সেটা আমি চাই না। এজন্য প্রেসিডেন্ট পদে বা পরিচালক পদেও নতুন কেউ যদি আসে তাহলে সেটা সহজ হবে। আমি সেটাই চেষ্টা করছি, গতানুগতিক অবস্থা থেকে বের হতে চাচ্ছি।’
 
পাপন আরও বলেন, ‘আমি চিন্তা করছি নতুন কেউ এসে তো এত কাজ একসঙ্গে করতে পারবে না। তাই চিন্তা ভাবনা করছি এটা বোর্ডে থেকে আলাদা দায়িত্ব দেওয়া যায় কি না। একজন সভাপতি থেকে তার নেতৃত্বে বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন জন দায়িত্বে থাকতে পারে। এটা উন্মুক্ত, তাই আগে থেকে কারা আসবে তা বলা যাবে না। তবে সবাই যদি আমাকেই বলে থাকতে তবে আমার একটা প্রস্তাব থাকবে, দায়িত্ব ভাগ করতে হবে।’

দ্রুতই বিসিবি নির্বাচন শেষ করার চিন্তার কথা জানিয়ে বিসিবির বর্তমান সভাপতি বলেছেন, ‘আমরা চাচ্ছি অক্টোবরে, মানে বিশ্বকাপ আছে সামনে। তার আগেই নির্বাচন শেষ করে নতুন বোর্ডের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে। এখানে দুটি বিষয় আছে- নির্বাচন করা এবং বোর্ড সভাপতি হওয়া। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বোর্ড সভাপতির যে কাজগুলো আছে তা তিন ভাগে ভাগ করা যায়।’

এমএইচ/জেএস