ইয়াসিরের ফিফটি, সাদমান-শান্তর আক্ষেপ মিঠুনের অপেক্ষা
বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে ২৩১ রানে গুটিয়ে দিয়ে চারদিনের ম্যাচে গতকাল (বৃহস্পতিবার) ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ২৩৭ রান তুলে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে হাইপারফরম্যান্স ইউনিট। আজ (শুক্রবার) ৬ রানের লিড নিয়ে ব্যাট করতে নেমে সেই লিড বাড়াতে পারেনি এইচপি। দিনের শুরুতেই অলআউট হয় ২৩৭ রানেই। ‘এ’ দলের হয়ে রাকিবুল হাসান গতকাল ৩ উইকেটের সঙ্গে আজ ২ উইকেট নিয়ে ৫ উইকেটের স্বাদ পান।
পরে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পায় ‘এ’ দল। তবে আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে ওপেনার সাদমান ইসলামকে। ১ রানের জন্য ফিফটি করতে পারেননি তিনি। নাজমুল হাসান শান্ত আউট হন ৪৭ রান করে। অর্ধশতকের কোটা পূর্ণ করে ৬৫ রানে অপরাজিত আছেন ইয়াসির আলী রাব্বি। ফিফটির অপেক্ষায় থাকা মোহাম্মদ মিঠুন ৪৬ রান নিয়ে আগামীকাল (শনিবার) চতুর্থ ও শেষ দিনে আবার ব্যাটিংয়ে নামবেন। তৃতীয় দিন শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ‘এ’ দলের সংগ্রহ ২৫৮ রান। ২৫২ রানে এগিয়ে তারা।
বিজ্ঞাপন
এইচপি দলকে অলআউট করে ‘এ’ দলের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন সাইফ হাসান ও সাদমান। ১৮ রান করে সাইফ আউট হন মুকিদুল ইসলামের বলে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলকে বড় রানের পুঁজি এনে দিতে লড়েন সাদমান-শান্ত। দুজনেই ছুটছিলেন ফিফটির দিকে। তবে আক্ষেপে পুড়তে হয় তাদের। সাদমানকে ব্যক্তিগত ৪৯ রানের সময় সাজঘরে ফেরান তানভির ইসলাম। ৪৭ রানে ব্যাট করা শান্তকেও একই পথ দেখান এই স্পিনার। অধিনায়ক মুমিনুল হক আউট হন ৩০ রান করে।
পরে এইচপির বোলারদের শাসন করেন রাব্বি-মিঠুন। দলকে আর কোনও বিপদে পড়তে দেননি দুজন। রাব্বি ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করে মাত্র ৫৭ বলে ফিফটির স্বাদ পান। ৬টি চার ও ৩টি ছয়ের মারে ৭৪ বল খেলে ৬৫ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। ধৈর্য পরীক্ষা দিয়ে টেস্ট মেজাজে ব্যাটিং করে ১১৮ বল খেলে মিঠুন অপরাজিত আছেন ৪৬ রান নিয়ে।
বিজ্ঞাপন
টিআইএস