মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন/ফাইল ছবি

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডোয়াইন ব্রাভো। ইনিংসের শেষদিকে বল হাতে বেশ কার্যকরী তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এবারের বিশ্বকাপ দলেও আছেন ব্রাভো। বর্তমানে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ইন্ডিয়ান প্রিময়ার লিগে খেলছেন তিনি। সংযুক্ত আরব আমিরাতেও বল হাতে আলো ছড়াচ্ছেন। 

বাংলাদেশ দলের হয়ে অনেকটা ব্রাভোর মতো ভূমিকাই পালন করেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। টাইগার এই ক্রিকেটার জানালেন, বিশ্বকাপের আগে ব্রাভোর বোলিংয়ের ভিডিও দেখে শিখছেন তিনি।

আজ (শুক্রবার) মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাইফউদ্দিন বললেন, ‘দেখুন, মুস্তাফিজের যেমন কাটার, তাসকিন ভাইয়ের যেমন সুইং-পেস, আমার হয়ত ডিফারেন্সটা ইয়র্কার। একেক পেসারের শক্তির জায়গা একেক রকম। আমি চাইলেই হয়ত ১৪০-১৩৮ গতিতে বল করতে পারব না। আমি আমার শক্তির জায়গা অনুযায়ী কাজ করছি।’

সঙ্গে যোগ করেন সাইফউদ্দিন, ‘আমাদের কম্পিউটার অ্যানালিস্ট শ্রীনিবাসের সাথে কথা বলছি। ব্রাভো বা আরও যে মিডিয়াম পেসাররা আইপিএলে সফল হচ্ছেন, তাদের ভিডিও ক্লিপস দেখে কিছুটা চেষ্টা করছি। জানি না সফল হবো কি না। কিন্তু আমি আমার ওয়ার্কআউট করছি- সেটা মাঠে হোক বা রুমে অবসর সময়ে ভিডিও দেখে হোক।’

বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের নিয়মিত সদস্য সাইফউদ্দিন। এর আগে লাল-সবুজের হয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেললেও কুড়ি ওভারের ফরম্যাটের বিশ্বকাপ খেলা হয়নি তার। এবারই প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়ছেন তিনি। বিশ্বকাপকে ঘিরে আলাদা পরিকল্পনা সাজিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।

সাইফউদ্দিন বলছিলেন, ‘পরিকল্পনা অবশ্যই আছে। প্রত্যেক খেলোয়াড়ই পরিকল্পনা নিয়ে বড় মঞ্চে যায়। আমারও আছে। তবে আমি এটা প্রকাশ করতে চাই না। কিন্তু অবশ্যই পরিকল্পনা আছে।’

বর্তমানে স্কিলের দিকে বাড়তি নজর দিয়েছেন সাইফউদ্দিন, ‘আমি ফেনীতে ছিলাম, কিন্তু বসে ছিলাম না। ফিটনেস ও স্কিল অনুশীলন করেছি। ভালো কিছু হবে, আশাবাদী। প্রত্যেক সিরিজ ও বিশ্বকাপের আগে রুটিন অনুযায়ী কাজ করেছি। আগেও বিশ্বকাপ খেলেছি। স্কিল নিয়ে কাজ করার বিকল্প তো কিছু নেই। মানসিকতা স্বচ্ছ রাখা গুরুত্বপূর্ণ। নিজের স্কিলের ওপর আত্মবিশ্বাস রাখা গুরুত্বপূর্ণ। বোলিংয়ের পাশাপাশি সমানতালে ব্যাটিং অনুশীলনও করেছি। সুযোগ পেলে ভালো কিছু করার ব্যাপারে আশাবাদী।’

টিআইএস/এনইউ