ব্যাটসম্যান-বোলারদের দারুণ প্রস্তুতি, জিতেছে বাংলাদেশ
প্রতিপক্ষর মানদণ্ড একপাশে রাখলে ব্যাটে-বলে আদর্শ প্রস্তুতি বলতে হবে। ওমান ‘এ' দলের বিপক্ষে অনানুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচে যেমন ব্যাট হাতে দাপট দেখিয়েছেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানরা, তেমনি বল হাতে নিজেদের প্রস্তুত করার কাজ নেহায়েত মন্দ হয়নি বোলারদের। ওমান ‘এ’ দলের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে স্কোর বোর্ডে ২০৭ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। পরে ১৪৭ রানে প্রতিপক্ষকে অলআউট করে ম্যাচ জিতেছে ৬০ রানের বিশাল ব্যবধানে।
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর্দা উঠবে আগামী ১৭ অক্টোবর। শুরুর দিনেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। মেগা এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে গত ৩ অক্টোবর ওমানে পৌঁছে কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরু করেছে টাইগাররা। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে আজ (শুক্রবার) ওমান ‘এ’ দলের বিপক্ষে একটি কুড়ি ওভারের ম্যাচ খেলতে নেমেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। যেখানে আগে ব্যাট করে স্কোর বোর্ডে জমা করে ২০৭ রানের বিশাল সংগ্রহ।
বিজ্ঞাপন
২০৮ রনের লক্ষ্য টপকাতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে স্বাগতিক ওমান। ইনিংসের প্রথম ওভারে হাত ঘোরাতে এসে উইকেট মেইডেন নেন স্পিনার নাসুম আহমেদ। ফেরান অক্ষয় প্যাটেলকে। পরের ওভারে বল করতে এসে প্রুথবি কুমারকে আউট করেন আরেক স্পিনার শেখ মেহেদী হাসান। দলীয় ১০ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ওমান ’এ’ দল।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা শোয়েব খান একপ্রান্তে আগলে রেখে প্রতিরোধ গড়লেও বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং তোপে সুবিধা করতে পারেননি অপরদিকের ব্যাটসম্যানরা। পরে শোয়েব খান রান আউট হয়ে ফেরেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৩ রান করে। রাফিউল্লাহ খেলেন ৩১ রানের ইনিংস। বাকিরা আসাযাওয়ার মিছিলে যোগ দিলে ১৪৭ রানে থামে ওমান ‘এ’ দলের ইনিংস। এতে ৬০ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ দল।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশের পক্ষে শরিফুল ইসলাম ৩টি, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ২টি এবং নাসুম হোসেন, শেখ মেহেদী, আফিফ হোসেন প্রত্যেকেই ১টি করে উইকেট নেন।
এর আগে ওমান ‘এ’ দলে বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে আগ্রাসী লিটন দাস ও নাঈম শেখ। পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে জমা করে ৪৮ রান। যদিও ব্যক্তিগত ২২ রানের মাথায় ক্যাচ তুলেছিলেন লিটন, সেটিকে তালুবন্দি করতে পারেননি পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডার। সেই সুযোগ পরে কাজে লাগিয়েছেন লিটন। ৩২ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। নিজের ইনিংসটি আর টানতে পারেননি। ৩৩ বলে ৫৩ রান করে আউট হন। যেখানে ৬টি চারের সঙ্গে ১টি ছক্কা মারেন লিটন।
লিটনের আউটের পর ব্যক্তিগত অর্ধশতকের স্বাদ পান নাঈম। সৌম্য সরকার (৮) মুশফিকুর রহিম (০), আফিফ হোসেনরা (৬) সুবিধা করতে পারেননি। পরে সতীর্থদের ব্যাটিংয়ের সুযোগ করে দিতে ব্যক্তিগত ৬৩ রানের সময় স্বেচ্ছায় অবসরে যান নাঈম। ৫৩ বলের ইনিংসটি সাজান ৩টি চার ২টি ছয়ের সাহায্যে।
শেষদিকে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন নুরুল হাসান সোহান ও শামীম পাটোয়ারি। সোহান ১৫ বলে অপরাজিত ৪৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। সঙ্গে শামীম পাটোয়ারীর ব্যাট থেকে আসে ১০ বলে ১৯ রান। এতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৭ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ দল। ওমান ‘এ’ দলের হয়ে আমির কলিম ও সামায় শ্রীভাস্তা ২টি করে উইকেট নেন।
দুই দলের এ ম্যাচটি হয় ওমান ক্রিকেট একাডেমি মাঠে। এখানেই বিশ্বকাপের প্রথম পর্বের তিন ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
টিআইএস/এমএইচএস