ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে মরুর বুকে চলছে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বাংলাদেশের ক্রীড়াপ্রেমিদের চোখ বিশ্বকাপের দিকে। অন্য সবার মতো বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফুটবলাররাও সাকিব-মুশফিকদের শুভকামনা জানিয়েছেন। 

জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া সাকিবদের শুভকামনা জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে বিশ্বকাপ উপলক্ষে ফুটবল দলের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা। আশা করি ক্রিকেট দল বিশ্বকাপ থেকে দেশবাসীর জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে। আমাদের সমর্থন ও ভালোবাসা থাকবে।’ 

জামাল দলকে শুভকামনা জানালেও তিনি নিজে ক্রিকেট খুব ভালো বুঝেন না, ‘আসলে আমি ক্রিকেট সেভাবে বুঝি না। বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি কিছু আউট বুঝলেও আরো কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। যা আমি তেমন বুঝি না।’ ডেনমার্ক থেকে বাংলাদেশে আসার পর তিনি ক্রিকেটের কথা প্রথম শুনেছেন, ‘আমি বড় হয়েছি ডেনমার্কে। সেখানে ক্রিকেট খেলা তেমন হয় না। বাংলাদেশে যখন প্রথম এসেছি তখনই ক্রিকেটের বিষয়টি জেনেছি।’   

বাংলাদেশ দলের অনেক ফুটবলার বিকেএসপিতে ক্রিকেটারের সঙ্গে বেড়ে উঠেছেন। আবার অনেক ফুটবলারের ছোট বেলায় একই জেলায় একসঙ্গে চলাফেরা রয়েছে। তবে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া একটু ব্যতিক্রম। তার বেড়ে ওঠা ইউরোপের ডেনমার্কে। তাই তার সঙ্গে ক্রিকেট দলের কোনো সদস্যের সেই রকম চেনাজানা নেই। 

২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলেছেন জামাল। আট বছর জাতীয় ফুটবল দলে খেললেও ক্রিকেটার ও অন্য ডিসিপ্লিনের কারো সাথে সেভাবে সম্পর্ক গড়ে উঠেনি, ‘ফুটবলে অনেক ব্যস্ত সময়। অফ সিজন বা কিছুটা ছুটি পেলে ডেনমার্ক যাই। অন্য খেলার খেলোয়াড়দের সঙ্গে সেভাবে মেশা হয় না। ক্রিকেটারদের মধ্যে আশরাফুলের সঙ্গে কয়েকবার আলাপ হয়েছে।’ 

জামাল ভূঁইয়ার মতো জাতীয় ফুটবল দলে আরেক প্রবাসী তারিক কাজী। জামাল ক্রিকেটের তিন ফরম্যাট নিয়ে তেমন স্পষ্ট না হলেও তারিক অনেকটা স্পষ্ট, ‘টি টোয়েন্টি সংক্ষিপ্ত সময়ের খেলা। আমাদের ক্রিকেটাররা  মনোযোগ ধরে রেখে নিজেদের সেরা খেলতে পারলে ভালো কিছু হবে।’

এজেড/এমএইচ/এটি