আড়াই দিনেই ম্যাচ জিতে নিল সাইফ-শুভাগতরা
জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) এবারের মৌসুমে রাউন্ড-১ এ টায়ার ওমানের ম্যাচে সিলেটের গ্রাউন্ডস-২ এ মুখোমুখি হয়েছিল সিলেট বিভাগ ও ঢাকা বিভাগ। যেখানে ব্যাট-বলে দাপট দেখিয়ে চারদিনের ম্যাচ আড়াই দিনের আগেই ৭ উইকেটে জিতে নিয়েছে ঢাকা বিভাগ। দুই ইনিংস মিলিয়ে ঢাকা বিভাগের স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু একাই তুলে নিয়েছেন ১০ উইকেট।
রোববার ম্যাচের শুরুতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ঢাকার বোলারদের বোলিং তোপে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি সিলেট। সর্বোচ্চ ১৮ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন রাহাতুল ফেরদৌস। সায়েম আলম ১৭ ও আমিত হাসান ১০ রানের ইনিংস খেলেন। সিলেট অলআউট হয় ৬৭ রানে। ৮ ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন অপু।
বিজ্ঞাপন
পরে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে পঞ্চাশ রানের গণ্ডি পার করার আগেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে ঢাকা বিভাগ। ওপেনার আব্দুল মাজিদ ৩৫ রান করে আউট হলে বিপদ বাড়ে দলটির। তবে শুভাগত হোম চৌধুরীর অর্ধশতকে লিড পায় ঢাকা। জাতীয় দলের এই অলরাউন্ডার খেলেন ৬৯ বলে ৫০ রানের ইনিংস। উইকেটরক্ষক মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ব্যাট থেকে আসে ৪৭ রান।
অলআউট হওয়ার আগে অধিনায়ক সাইফ হাসানের দল স্কোরবোর্ডে ১৭৬ রানের পুঁজি পায়। সিলেটের হয়ে এনামুল হক জুনিয়র ৬৬ রান দিয়ে ৪ এবং পেসার এবাদত হোসেন ৩৪ রান খরচ করে নেন ৩ উইকেট।
বিজ্ঞাপন
১০৯ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে সিলেট। তবে এই ইনিংসেও সুবিধা করতে পারেনি স্বাগতিকরা। ১৭৪ রানে গুটিয়ে যায় তারা। সর্বোচ্চ ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন অমিত হাসান। ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেনের ব্যাট থেকে আসে ৪৩ রান। বাকি ব্যাটসম্যান একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি, যোগ দিয়েছেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। এতে ১৭৪ রানে অলআউট হয় সিলেট। বল হাতে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন অপু। শুভাগত পান ৩টি।
পরে ৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচের দ্বিতীয় দিনেই খেলা শেষের পথে ছিল ঢাকা বিভাগ। তবে জয় থেকে ১৪ রানে তারা শেষ করে দ্বিতীয় দিনের খেলা। আজ (মঙ্গলবার) তৃতীয় দিনের শুরুতেই বাকি আনুষ্ঠানিকতা সেরে ৭ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে সাইফ হাসানের দল। রাকিবুল হাসান ১৫ ও তাইবুর রহমান ৮ রানে অপরাজিত থাকেন। সাইফ আউট হন ২০ রান করে।
টিআইএস