একটি জয়ের খোঁজে ছিল বাংলাদেশ দল। দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে হারের পর বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হার। বলা যায় দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছিল টাইগারদের। ওমানের কাছে হারলে শেষ হয়ে যেত বিশ্বকাপ যাত্রা। এ ম্যাচেই কাঙ্ক্ষিত জয় আসে। 

তবে সহসা ধরা দেয়নি এই জয়। নিয়মিত ব্যাটিং অর্ডার বলে কিছুই ছিল না এ ম্যাচে। অভিজ্ঞ দুই ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিম ব্যাটিং করেছেন ৭-৮ নম্বরে। ব্যাটিং অর্ডারের এমন পরিবর্তনকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের সাধারণ চর্চা বলছেন সাকিব আল হাসান। যেটি দলীয় সিদ্ধান্তে, খেলোয়াড়দের সমর্থনে হয়ে থাকে বলে জানালেন সাকিব।

ওমানের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বললেন, ‘পরিস্থিতি অনুযায়ী কোচ-অধিনায়ক যেটা ভালো মনে করেছেন তাদেরকেই পাঠানো হয়েছে। যারা ঐ পরিস্থিতি সামলানোর যোগ্য। একটা সময় ছিল যখন মনে হয়েছে ১৭০-১৮০ রানও করে ফেলতে পারতাম, যদি সবার ব্যাটিং ক্লিক করত। সে কারণেই অনেককে পরিবর্তন করে পাঠানো হয়েছে।’

একে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সহজাত কেতা বলেই আখ্যা দিলেন সাকিব। বললেন, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন হয়েই থাকে। যখন একটা দল ১০-১১ ওভারে ১-২ উইকেট হারায় তখন ৬-৭ নম্বর ব্যাটসম্যান স্বাভাবিকভাবেই ওপরের দিকে চলে আসে। টি-টোয়েন্টিতে এটা খুবই সাধারণ চর্চা।’

ওমানের বিপক্ষে সাকিব নিজেও ব্যাটিংয়ে নেমেছেন চার নম্বরে। অথচ তিন নম্বরেই ব্যাট করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি। দলের এমন সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখতে বললেন টাইগার অলরাউন্ডার।

সাকিবের ব্যাখ্যা, ‘দল সফল হলে এসব সিদ্ধান্তে সবাই প্রশংসা করে, দল হারলে দোষারোপ করে। অনেক সময়ই কোচ-অধিনায়ককে এমন অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সতীর্থরা সবাই সেটাকে সমর্থন দেই।’

টিআইএস/এনইউ