ছবি : সংগৃহীত

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের সঙ্গে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল। তবে শুরুতে মাঠে গড়ানো পঞ্চাশ ওভারের ফরম্যাটে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি সফরকারীরা। শুরুর ২ ম্যাচ হেরে আগেই সিরিজ হার নিশ্চিত হয়েছে তাদের। টেস্ট সিরিজের আগে আত্মবিশ্বাস সঞ্চয়ের জন্য তৃতীয় ওয়ানডেতে চোখ ক্যারিবীয়দের।

মিরপুরে শুরুর দুই ওয়ানডেতে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি উইন্ডিজ দল। দুই ম্যাচেই আগে ব্যাট করে দেড়শ রানের নিচে অলআউট হয় সরকারীরা। এজন্য বোলাররা সুযোগ পাননি নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণের। ৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে মাঠে নামার আগে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে থেকে আত্মবিশ্বাস খোঁজার কথা জানালেন উইন্ডিজ দলের সহকারী কোচ রডি এস্টউইক।

রোববার ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এস্টউইক বলেন, ‘আপনি ভালো পারফরম্যান্স চাইবেন, সঙ্গে জিততেও চাইবেন। আপনি দেখতে চাইবেন ব্যাটসম্যানরা ভালো কোনো স্কোর করুক, সঙ্গে বোলাররাও দারুণ পারফরম্যান্স করুক। যা টেস্ট স্কোয়াডের সদস্যদের আত্মবিশ্বাস জোগাবে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘দলে বেশ ভালো টিম স্পিরিট রয়েছে। টেস্টের খেলোয়াড়েরা ৫০ ওভারের ক্রিকেটারদের সমর্থন দিচ্ছে। আমরা সবাই একসাথে জৈব সুরক্ষা বলয়ে আছি। পরের ম্যাচে আমরা ছোটখাটো কোনো সুবিধা পেলে, টেস্টের আগে সেটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হবে।’

করোনার দোহাই দিয়ে বাংলাদেশ সফর থেকে নাম সরিয়েছে নিয়েছেন ক্যারিবীয় মূল দলের ১০ জন ক্রিকেটার। দুজন আসেননি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে। তুলনামূলক দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে বাংলাদেশ সফরে এসেছে উইন্ডিজ। তবে দলীয় ব্যর্থতার জন্য সেটিকে কারণ হিসেবে দেখতে নারাজ এস্টউইক। বাংলাদেশের কন্ডিশনে খেলোয়াড়দের মানিয়ে নিতে বেগ পেতে হয়েছে বলে জানালেন তিনি।

ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে এস্টউইক বলেন, ‘আমাদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে এবং ভালো কিছু অনুশীলন সেশন কাটালাম।খেলোয়াড়রা চেষ্টা করছে, কিন্তু তাদের অনেকের জন্যই ৫০ ওভারের ক্রিকেটটা নতুন। আর বাংলাদেশের কন্ডিশনও তাদের জন্য কঠিনতম বিদেশি কন্ডিশন। কিন্তু আপনি এর মধ্যে লুকিয়ে থাকতে পারবেন না। আপনি একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার এবং আপনাকে আপনার খেলায় উন্নতির পথ খুঁজে বের করতে হবে।’

টিআইএস/এমএইচ