‘সিনিয়র’দের দেখা নেই, আজ সংবাদ সম্মেলনে এলেন তাসকিন আহমেদ/আইসিসি

ব্যর্থ! বিশ্বকাপ মঞ্চে গিয়ে একেবারে ছন্নছাড়া বাংলাদেশ দল। ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করা যাকে বলে। কোনোরকমে প্রথম পর্ব পার করে সুপার টুয়েলভে উঠলেও এই পর্বে নিজেদের খেলা চার ম্যাচের একটিতেও জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। টানা হারে বিদায় টুর্নামেন্ট থেকেই। হতাশাজনক পারফরম্যান্সে কাঠগড়ায় ক্রিকেটাররা। সমালোচনা সইতে না পেরে কথার জবাব দিতে গিয়ে উল্টো বিপাকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা।

পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, বাংলাদেশ দলের জন্য সংবাদ সম্মেলন যেন আতঙ্কের বিষয় হয়ে গেছে। সিনিয়র অনেক ক্রিকেটার ম্যাচ শেষে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে আসতে চাইছেন না বলে খবর ছড়িয়েছে। ম্যাচ হারের পর কোচিং স্টাফের সদস্যরা গা ঢাকা দিচ্ছেন। পাঠানো হচ্ছে নাসুম, তাসকিনদের। এমনিতেই মাঠের পারফরম্যান্স একেবারেই বিবর্ণ, তার চেয়ে কি প্রেস সামলানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ দলের কাছে?

দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে রীতিমত বিধ্বস্ত হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে আসলেন পেসার তাসকিন আহমেদ। বললেন, ‘দলের ফলাফল ভালো না হলে সবকিছুই অনেক কঠিন। খুবই স্বাভাবিক, ভালো না খেললে অনেক কথা হয়। সব মিলিয়ে খেলোয়াড়রা চাপে থাকে। কিন্তু সার্বিকভাবে তো ভালো হয়নি, সবাই দেখেছে। আশা করছি ভবিষ্যতে ভালো হবে।’

ইনজুরির কারণে সাকিব আল হাসান আগেই ছিটকে গেছেন। এজন্য তাকে ছাড়াই মাঠে নামে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে এই প্রথমবার সাকিবকে ছাড়া মাঠে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ২০০৭ বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে আগের সবগুলো ম্যাচেই ছিলেন এই অলরাউন্ডার। বিশ্বকাপে টানা ৩১ ম্যাচ খেলার পর ছেদ পড়ল এই ধারায়। সঙ্গে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে একাদশের বাইরে পেসার মুস্তাফিজুর রহমানও। দুই ক্রিকেটারের অভাব কতটুকু অনুভব করেছে দল?

তাসকিন বললেন, ‘সাকিব ভাই ও মুস্তাফিজ দুইজনই সাদা বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশের অন্যতম শক্তি। সাকিব ভাই চোটে পড়েছেন, মুস্তাফিজ আজকে ছিল না। ওরা থাকলে বাংলাদেশের জন্য বাড়তি শক্তি, প্রতিপক্ষের জন্য দুশ্চিন্তা। যেহেতু ছিল না, কিছু করার তো ছিল না। আমরা যারা খেলেছি, সেরাটা দিয়েছি।’

টিআইএস/এনইউ/জেএস