বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্তারা যে তাকে বেশ ভালবাসেন, সেটা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। দল যেমনই করুক, মাঠের যাই ফল আসুক রাসেল ডমিঙ্গোতে আস্থা রাখছেন দেশের ক্রিকেট কর্তারা। আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দল যখন ভরাডুবিতে তখন আরও দুই বছর সাকিব আল হাসান-মুশফিকুর রহিমদের কোচ থাকাটা নিশ্চিত করে নিয়েছেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান। ঢাকায় ফিরে চুক্তির কথা থাকলেও আগেভাগেই সেটি করে নিয়েছে বিসিবি আর ডমিঙ্গো। 

অথচ দল উল্টো পথে। ডমিঙ্গো নিজেও বিশ্বকাপে টানা পাঁচ হারের দায় এড়াতে পারেন না। বৃহস্পতিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৮ উইকেটে হেরে শেষ হয়েছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন। দুঃস্বপ্নের এই অভিযান শেষে উঠে এসেছে ডমিঙ্গোর সঙ্গে ক্রিকেটারদের সম্পর্কের প্রসঙ্গটাও। ডমিঙ্গো কোচের দ্বায়িত্বে থাকার জন্য কতটা যোগ্য-এমন প্রশ্ন শুনতে হলো রিয়াদকে।

যদিও এ নিয়ে সরাসরি কিছুই বলছে না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বাংলাদেশ অধিনায়ক জানিয়ে রাখলেন, এটা তাদের বিষয় না। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘এটা আমার পক্ষে বলা কঠিন কারণ আমি যতটুক বুঝি যে প্লেয়ারদের মধ্যে কোন সমস্যা নেই। বা প্লেয়ার কোচিং স্টাফদের মধ্যেও কোন সমস্যা নেই। আপনি যে সিদ্ধান্তের কথা বললেন ওটা পুরোপুরি ক্রিকেট বোর্ডের কাছে, অধিনায়ক বা সিনিয়র প্লেয়ার হিসেবে আমার দায়িত্ব টিমের প্লেয়ারদের ব্যাক করা, তাদের আগলে রাখা বা তাদের মোটিভেট করা, তাদের কাছ থেকে বেস্ট পারফরম্যান্স আদায় করে নেওয়া; এ জিনিসগুলোয় আমি বেশি ফোকাসড ছিলাম।’

প্রসঙ্গটা এড়িয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আরও বলছিলেন, ‘আমরা স্কটল্যান্ডের সাথে হারি এবং ওমানের সঙ্গে ম্যাচ জেতার পর আমি পারফরম্যান্সে খুশি ছিলাম। তারপর যেটা বললাম কোয়ালিফায়ারে দুটা জেতার পর যখন আমরা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে খেলি আমরা ভাল ব্যাটিং করেছিলাম। তো আমি যেটা বললাম আমাদের ফ্লোটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, ওই সেটা আমরা হারিয়ে ফেলছিলাম, তো এ জায়গা থেকে আমরা আর বের হতে পারিনি।’

তারই পরিনতি দেখা গেলো গোটা বিশ্বকাপে। ২০২১ বিশ্বকাপে হতাশার কাব্যই লিখলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। কে জানে আবার কবে হেসে উঠবে বাংলাদেশ ক্রিকেট!

এটি/এনইউ