বয়সটা যেন তার কাছে শুধুই আর একটা সংখ্যা। চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেটাই যেন প্রমাণ করে চলেছেন শোয়েব মালিক। ৩৯ বছর বয়সেও খেলে যাচ্ছেন দিব্যি, ব্যাট হাতে ছোটাচ্ছেন সাইক্লোন, দলকে এনে দিচ্ছেন দারুণ সব জয়। সবশেষ স্কটল্যান্ড তার বিধ্বংসী রূপের দেখা পেল। ১৮ বলে করলেন ৫৪, বিশ্বকাপে দ্রুততম অর্ধশতকের রেকর্ডটাও নিজের করে নিলেন তাতে।

বয়স ৪০ ছোঁবে আর ক’দিন পরই। এখনো কী করে এমন কিছু পারেন? খেলে যাচ্ছেন, দলকে জেতাচ্ছেন মধ্য ২০-এ থাকা তরুণের মতো করে? শোয়েব মালিক জানালেন, আয়না দেখে নিজেকে ফিট রাখার তাড়নাই এ পর্যন্ত টেনে এনেছে তাকে। 

ম্যাচ পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় মালিক বললেন, ‘সত্যি বলতে কি, যখন আমি নিজেকে আয়নার দেখি, তখন নিজেকে ফিট দেখতে চাই। এই নিয়ে আমার একটা খুঁতখুঁতে বিষয় রয়েছে। যদি কেউ নিজেকে ফিট দেখতে চায়, তা হলে তাকে নিয়মিত ট্রেনিং করতে হবে। যা আমি করে থাকি।’

রোববার সন্ধ্যায় শোয়েব মালিক যখন ব্যাট করতে নামেন, তখনো পাকিস্তানের রান ১৫ ওভার শেষে ১১২। ছয় ছক্কা আর এক চারের মারে এরপর তিনি খেললেন ১৮ বলে ৫৪ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস। তাতে দলের রান গিয়ে ঠেকে ১৮৯-তে। শুরুর দশ ওভারে দারুণ চাপে থাকা পাকিস্তানও ফেরত পেয়ে যায় লড়াইয়ের মানসিকতাটা।

পাকিস্তান সে মানসিকতাটা বোলিংয়েও ধরে রেখেছে বেশ। স্কটিশদের রুখে দিয়েছে ১১৭ রানেই। যার ফল ৭২ রানের জয়। তাতে দারুণ প্রতাপে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে শেষ চারে পা রাখে বাবর আজমের দল। বিধ্বংসী ইনিংসের সুবাদে ম্যাচসেরা হন শোয়েব মালিক। 

৩৯ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডারের কাজটা অবশ্য এখানেই শেষ নয়। সেমিফাইনালে তার দল পাকিস্তান মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়ার। সে বাধা ডিঙিয়ে যে ফাইনালটাও জিততে চাইবে তার দল তা বলাই বাহুল্য। 

এমনিতে চলতি বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলে পারফর্মারের অভাব নেই। পাঁচ ম্যাচে সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন ভিন্ন ভিন্ন পাঁচ জন। যার সবশেষজন বনলেন মালিক। তার কাছে পরের ম্যাচেও তেমন কিছুই চাইবে পাকিস্তান, শক্তিশালী অজিদের হারাতে যে তার অভিজ্ঞতাটাও বড় প্রয়োজন তার দলের!

এনইউ