ফিফটির পথে মঈন আলির একটি শট/ক্রিকইনফো

তিনি যখন ক্রিজে আসেন, ইংলিশদের তখন কিছুটা চেপেই ধরেছে নিউজিল্যান্ড। মঈন আলি সেখান থেকে ধরলেন ইংল্যান্ডের হাল, দারুণ এক ফিফটিতে দলকে এনে দিয়েছেন বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের ১৬৬ রানের লড়াকু এক পুঁজি।

টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুর দশ ওভারে ইংলিশরা রান তুলতে পারেনি খুব একটা। ৬৭, টি-টোয়েন্টির বিচারে তা তো কমই। এরপর যে শেষ দশ ওভারে দলটা ৯৯ রান তুলেছে, তার কৃতিত্বটা ডেভিড মালান আর মঈন আলির। 

অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না, সেটাই যেন ইনিংসের শুরু থেকে প্রমাণ করছিলেন কিউই বোলাররা। প্রথম তিন ওভারে নিউজিল্যান্ড হজম করে মাত্র ১৩ রান। ট্রেন্ট বোল্টের করা চতুর্থ ওভার থেকে ১৬ রান তুললেও এরপর রানের চাকায় গতি আনতে পারেননি ওপেনার জস বাটলার আর জনি বেয়ারস্টো। ষষ্ঠ ওভারে যখন বেয়ারস্টো ফিরলেন, তখন দলের রান কেবল ৩৭। দলীয় ৫৭ রানের মাথায় অষ্টম ওভারে ফেরেন বাটলারও।

এরপরই ক্রিজে আসেন মঈন। অপর পাশে মালানকে সঙ্গে নিয়ে শুরুতে কাজ করেছেন ইনিংস গড়ার। উইকেটে থিতু হতেই রানের গতি বাড়ানোয় মনোযোগ দিয়েছেন দুজনে। মালান অবশ্য শুরুতে একটু নড়বড়েই ছিলেন। ১০ রানে জীবন পেয়েছেন একবার। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাননি তিনি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে মঈনের সঙ্গে মিলে যোগ করেন ৬৩ রান, তাও মাত্র ৪৩ বলে। ৪১ রান নিয়ে মালান ফেরেন ২৩ বল বাকি রেখে। 

লিয়াম লিভিংস্টোন আর অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যানকে সঙ্গে নিয়ে বাকি কাজটা সেরেছেন মঈন। লিভিংস্টোনকে সঙ্গে নিয়ে ৪ ওভার ৪০ তোলেন তিনি, যাতে লিভিংস্টোনের অবদান ছিল ১০ বলে ১৭। বাকি কাজটা সেরেছেন তিনি নিজেই। ইনিংসের শেষ ওভারে ফিফটি করেন তিনি। ৩৭ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। মরগ্যান শেষ ওভারে এসে ২ বলে ৪ রান করেন। তাতেই দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৬৬।

এনইউ