কেন উইলিয়ামসনের ইনিংসটাকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। জশ হেইজেলউডের হাতে জীবন পাওয়ার আগে এবং তার পরে। ব্যক্তিগত ২১ রানে জীবন পেয়ে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছেন অজি বোলারদের ওপর! দলকে বড় রানের দিশা দিয়ে তিনি ফিরেছেন ৮৫ রানে। তাতে হয়তো খানিকটা আক্ষেপও নিয়ে গেছেন তিনি। রেকর্ডটা যে ভাঙা হয়নি তার, বিশ্বকাপ ফাইনালে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। 

শুরুতে খেলছিলেন একেবারে ধীরে সুস্থে। পাওয়ার-প্লেতে রান ওঠেনি। সেটা যেন ছুঁয়েই যায়নি তাকে। ১৯ বলে করলেন ১৮। হঠাৎই যেন সেটা ছুঁয়ে গেল তাকে। ইনিংসের বিশ নম্বর বলে মিচেল স্টার্ককে উড়িয়ে মেরেছিলেন ফাইন লেগের ওপর দিয়ে। সেটা গিয়ে সরাসরি পড়েছিল হেইজেলউডের হাতে। সেটা তো তালুবন্দি করতে পারলেন না অজি ফিল্ডার, উল্টো তা একবার মাটি ছুঁয়ে বেরিয়ে গেল সীমানা দড়ির ওপারে। 

উইলিয়ামসন এরপর ধারণ করলেন রূদ্রমূর্তি। স্টার্কের সেই ওভারে তুললেন ১৯, অজি এই বোলারের পরের ওভারে আরও ২২। ইনিংসের ২২ নম্বর বলটায় সেই ক্যাচ মিসের পরের ২৬ বলে করলেন ৬৪ রান। ৮৫ রানে দলের প্রয়োজনে ব্যাট চালাতে গিয়ে ধরা পড়েছেন লং অফে। তবে তার আগে দলকে লড়াকু পুঁজির রসদ দিয়ে গেছেন তিনি। 

তবে আক্ষেপ আছে দুটো। বিশ্বকাপ ফাইনালে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ডটা মারলন স্যামুয়েলসের। আগের বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন অপরাজিত ৮৫ রানের ইনিংস। সেটা ভাঙা হলো না তার। বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রথম সেঞ্চুরির সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হলেন বৈকি। তার বিদায়ের পরও যে বল বাকি ছিল আরও ১৩টা! 

এনইউ