নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে নিউজিল্যান্ড বড় এক লক্ষ্যই ছুঁড়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে কেন উইলিয়ামসনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ১৭২ রান তুলেছে দলটি। তাতে অজিদের সামনে চ্যালেঞ্জটা দাঁড়াল ১৭৩ রানের।

অথচ শুরুটা বলছিল ভিন্ন কথাই। শুরুতে দারুণ হিসেবি বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডকে পাওয়ারপ্লেতে খুব একটা রান করতে দেননি অজি বোলাররা। আগের ম্যাচে জয়ের নায়ক যিনি, সেউ ওপেনার ড্যারিল মিচেলকে শুরুতেই হারিয়ে বসেছিল নিউজিল্যান্ড। ৬ ওভার শেষে দলের রান ছিল কেবল ৩২। পরের চার ওভারেও রান উঠল না খুব একটা। দশ ওভার শেষে দলটি করতে পারল কেবল ৫৭।

দৃশ্যটা বদলে গেল এরপরই। ১১তম ওভারে বল করতে আসা মিচেল স্টার্ককে ফাইন লেগের ওপর দিয়ে সীমানাছাড়া করতে চেয়েছিলেন কেন উইলিয়ামসন। তা সোজা গিয়ে পড়লো জশ হেইজেলউডের কাছে, কিন্তু অজি পেসার মিস করে বসলেন ক্যাচটা। সেটাই বদলে দিল নিউজিল্যান্ড ইনিংসকে। সে ওভারে উইলিয়ামসন তুললেন ১৯। মহামূল্য মোমেন্টামটাও নিয়ে এলেন দলের দিকে। 

পরের ওভারে মার্টিন গাপটিল ফিরলেন বটে, তাতে নিউজিল্যান্ডের ওপর চাপই চলে আসার কথা। কিন্তু ওই যে, মোমেন্টাম! সেটা ছিল দলের কাছে। তাতেই আর পেছন ফিরে তাকায়নি নিউজিল্যান্ড।

কেন উইলিয়ামসনের ইনিংসটাকেও দুই ভাগে ভাগ করা যায়। সেই ক্যাচটা মিসের আগে-পরে। উইলিয়ামসন এরপর ধারণ করলেন রূদ্রমূর্তি। যার বলে ক্যাচটা খোয়া গিয়েছিল, সেই স্টার্কের পরের ওভারে তুললেন আরও ২২ রান। ইনিংসের ২২ নম্বর বলটায় সেই ক্যাচ মিসের পরের ২৬ বলে করলেন ৬৪ রান। ৮৫ রানে দলের প্রয়োজনে ব্যাট চালাতে গিয়ে ধরা পড়েছেন লং অফে। তবে তার আগে দলকে লড়াকু পুঁজির রসদ দিয়ে গেছেন তিনি। 

তার বিদায়ের পর জিমি নিশাম আর টিম সেইফার্টও সুতোয় ঢিল পড়তে দেননি আদৌ। শেষতক তাই দলের সংগ্রহটা গিয়ে ঠেকে ১৭২ রানে।

এনইউ