গেল বছর করোনাভাইরাসের প্রকোপে ক্রিকেট তো বটেই, গোটা বিশ্বই তো চলে গিয়েছিল শীতনিদ্রায়। সে নির্বাসন কাটিয়ে পুরো বিশ্ব ফিরেছে ‘নতুন স্বাভাবিকতা’ নিয়ে, ফিরেছে ক্রিকেটও। মাঠে গড়িয়েছে দু’দুটো আইপিএল, একটা বিশ্বকাপের মতো আসর। 

তবে এবার আবার ক্রিকেটকে চোখরাঙানি দিচ্ছে করোনার নতুন ধরন। দক্ষিণ আফ্রিকায় এই নতুন প্রজাতির সন্ধান মিলেছে এবার। তাতেই একাধিক ক্রিকেট সিরিজ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে শঙ্কা। তার মধ্যে বিরাট কোহলির ভারতের সিরিজও আছে একটা। 

শুক্রবার থেকেই সেঞ্চুরিয়নে শুরু হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম নেদারল্যান্ডস ওয়ানডে সিরিজ। তবে তিন ম্যাচের সেই সিরিজটা আদৌ শেষ করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে শঙ্কা। 

প্রাথমিকভাবে সিরিজ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। প্রথম ম্যাচ খেলেই দেশে ফেরার কথা ছিল সফরকারী নেদারল্যান্ডস দলের। কিন্তু তাদের বাড়ি ফেরার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশের করোনা নীতিমালা। যে কারণে ৩ ডিসেম্বরের আগে কোনোভাবেই দক্ষিণ আফ্রিকা ছেড়ে বেরোতে পারবেন না ডাচ ডাচ ক্রিকেটাররা।

শুধু নেদারল্যান্ডস দলই নয়, ডিসেম্বর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতের সফরও পড়ে গেছে শঙ্কায়। ৩টি টেস্ট, ৩টি ওয়ানডে ও ৪টি টি-টোয়েন্টি, সব মিলিয়ে দশ ম্যাচের ম্যারাথন এক সিরিজ খেলার কথা ছিল ভারতের। কিন্তু সে পথ আগলে দাঁড়িয়েছে করোনার নতুন ধরন।

বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মার দল শেষমেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় পা রাখবে কি না, এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটা আসবে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে। ভারতীয় বোর্ডের বিশ্বস্ত সূত্র ধরে হিন্দুস্তান টাইমস জানাচ্ছে, এখন সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে বিসিসিআই।

এনইউ