বাংলাদেশ ক্রিকেটে যে ক্রান্তিলগ্ন চলছে তা এলোমেলো করে দিয়েছে দেশের ক্রিকেট। বিশ্বকাপের পর ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষেও বাজে পারফরম্যান্স- দৈন্যদশা কাটছে না কোনোভাবেই। সাফল্যের খোঁজে প্রায় প্রতি ম্যাচেই নতুন নতুন ক্রিকেটারকে অভিষেক করানো হচ্ছে। লাভ তো হচ্ছেই না, ফলাফল আরো শোচনীয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে! টানা ব্যর্থতায় প্রশ্ন উঠেছে টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত নিয়ে।

সাইফ হাসানকে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক, মাহমুদল হাসান জয়কে দিয়ে টেস্টে ওপেন করানো, ইয়াসির আলী রাব্বিকে অভিষেকের পরের ম্যাচেই বাদ দেওয়া- বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানালেন, সবই পরীক্ষা-নিরীক্ষার অংশ। তার কাছে ৩ মাস সময় চেয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট।

শনিবার বিকেএসপিতে এক অনুষ্ঠানে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন পাপন। তিনি বলেন, ‘আমি না হয় আরও এক বছর, দেড় বছর কিংবা দুই বছর আরও কয়েকজনকে খেলিয়ে গেলাম। তারপর কী হবে? আমাদের তো ভবিষ্যতের জন্য লং টার্ম পরিকল্পনা করতে হবে। এজন্য যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা তারা করছে, সেটার জন্য তিন মাস সময় চেয়েছে। কেউ যদি তিন মাস সময় চায় আমি না করতে পারি?’

যোগ করেন পাপন, ‘এই খেলোয়াড়রা কিন্তু পারফর্ম করেছে। এই বিশ্বকাপে সৌম্য, লিটন, নাঈম পারফর্ম করেনি, এ নিয়ে এত হুলুস্থুল। কিন্তু ওরা তো এতদিন পারফর্ম করেছে। এমন মনে হচ্ছে ওরা খেলাই জানে না। মুশফিক, সাকিব, রিয়াদের মতো খেলোয়াড়ও পারফর্ম করতে পারেনি। মুস্তাফিজ আমাদের সেরা বোলার, পারফর্ম করতে পারেনি। তাই বলে কি ওরা খারাপ? ওরাই আগে ভালো করেছে আর সামনেও ওরাই করবে। ওরা না করলে নতুনরা করবে। এ নিয়ে এত তাড়াতাড়ি ক্ষুব্ধ হওয়ার কোনো ব্যাপার নেই।’

দলের সাম্প্রতিক বাজে ফর্মের বিষয়টি নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নন পাপন। ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানালেন বোর্ড সভাপতি। ক্রিকেটারদের মানসিকভাবে চাঙ্গা করতে পদক্ষেপ নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।

পাপন বলেন, ‘একটা দলের পারফরম্যান্স হঠাৎ করে খারাপ হতেই পারে। তাহলে কী করবেন আপনি? আপনি কি হাল ছেড়ে দেবেন নাকি এটাকে ঠিক করবেন? কারও সামর্থ্য নেই তা তো নয়। এরাই তো পারফর্ম করে দেখিয়েছে। ঠিক করতে হবে। ঠিক করতে গেলে কী করবেন বলেন? এখন ব্যাটিং খারাপ হচ্ছে। ব্যাটিংয়ের জন্য ট্রেনিং, ওয়ার্কশপ করা দরকার। ধরুন সাইকোলজিক্যালি একটু ডাউন, চাঙ্গা ভাবটা নেই। এটার জন্য সাইকোলজিস্ট আনতে হবে, আগে যেমন এনেছি।’

টিআইএস/জেএস