ভারতের ক্রিকেটে যেন রীতিমতো ঝড়ই বয়ে যাচ্ছে। হুট করেই ঘোষণা আসে, ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে বিরাট কোহলিকে সরিয়ে দেওয়ার। নতুন অধিনায়ক করা হয় রোহিত শর্মাকে। পরে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি জানান, সাদা বলের ক্রিকেটে দুজন অধিনায়ক রাখতে চান না তারা।

তখন সৌরভ জানিয়েছিলেন, কোহলিকে নাকি টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব চালিয়ে যেতে বলেছিল বিসিসিআই। কিন্তু রাজি হননি তিনি। পরে তাই ওয়ানডে অধিনায়কত্বও দেওয়া হয় রোহিত শর্মাকে। তবে এই অভিযোগ সত্য নয় বলেই জানিয়েছেন কোহলি। বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এসে ঝড়ের পালে যেন হাওয়া দিয়েছেন তিনি।

কোহলি বলেছেন, ‘আমি যখন বিসিসিআইকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়ার কথা জানাই। তারা খুব ভালোভাবেই এটা গ্রহণ করেছিল। এখানে কোনো দ্বিধা ছিল না। আমাকে বলা হয়েছিল এটা এগিয়ে যাওয়ার একটা পদক্ষেপ। এটাও তখন জানানো হয়েছিল আমি ওয়ানডে ও টেস্টের অধিনায়কত্ব চালিয়ে যেতে পারব।’

আমি যখন বিসিসিআইকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছাড়ার কথা জানাই। তারা খুব ভালোভাবেই এটা গ্রহণ করেছিল। এখানে কোনো দ্বিধা ছিল না।

‘আমার দিক থেকে যোগাযোগটা ছিল পরিষ্কার। কিন্তু আমি এটাও বলেছি যদি বিসিসিআই বা নির্বাচকরা মনে করে আমার অধিনায়কত্ব চালিয়ে যাওয়া উচিত না। তাহলে সেটাও ঠিক আছে।’

ওয়ানডে অধিনায়কত্ব নিয়ে কোহলির সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি। তার সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের টেস্ট স্কোয়াড নিয়ে কথা হয় নির্বাচকদের। পরে ওই স্কোয়াড ঘোষণার দেড় ঘণ্টা আগে নাকি জানানো হয় তিনি ওয়ানডে অধিনায়ক থাকছেন না। 

কোহলি বলেছেন, ‘টেস্ট দল নির্বাচনের দেড় ঘণ্টা আগে আমাকে জানানো হয়েছে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে বাদ দেওয়ার ব্যাপারে। প্রধান নির্বাচক আমার সঙ্গে টেস্ট স্কোয়াড নিয়ে কথা বলেছেন। যখন কথা শেষ হলো, এরপর আমাকে পাঁচ অধিনায়ক জানাল আমি আর ওয়ানডে অধিনায়ক থাকবো না। আগে আর কোনো কথা হয়নি।’

এমএইচ/এটি