আগামী ২১ জানুয়ারি পর্দা উঠবে আসন্ন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল)। করোনার কারণে ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাটপূর্ণ এই টুর্নামেন্ট মাঠে গড়াচ্ছে এক মৌসুম পর। এটি হবে বিপিএলের অষ্টম আসর। ৭টি আসর পার করে এসেও বিপিএলে যেন খুঁজ পায়নি শক্ত ভিত। প্রতিবারই জোড়াতালি, আক্ষেপ আর অতৃপ্তি নিয়ে শুরু হয় বিপিএল। এবারও ব্যত্যয় হচ্ছে না। এবার তো শুধু যেন বিপিএলটাই আছে, ভেতরই সবই ফাঁকা!

করোনাভাইরাসের মধ্যে টুর্নামেন্ট। তার উপর পাকিস্তান সুপার লিগের সঙ্গে একই সময় মাঠে গড়াবে বিপিএল। পিএসএলের পর ড্রাফট হওয়ায় এবার বিপিএলে নেই তেমন তারকা বিদেশি ক্রিকেটারের উপস্থিতি। মাঠের ক্রিকেট শুরুর আগে বেশ রঙ হারিয়েছে এই টুর্নামেন্ট। থাকছে না ডিআরএস, ভালো মানের বিদেশি আম্পায়ার, ধারাভাষ্যকার, দর্শক। প্রোডাকশনের মান সেই আগের মতোই গড়পড়তা!

বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক যেমন বলছিলেন-

ডিআরএস নিয়ে, ‘এবারের বিপিএল আমরা অল্প সময়ের প্রস্তুতিতে করছি, আমাদের অনেকগুলো জায়গায় সংগ্রাম করতে হয়েছে। অনেকগুলো সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি আমরা। যেমন ডিআরএস টা দেওয়ার কথা ছিলো, কিন্তু আমরা যেহেতু ডিআরএস ম্যানেজ করতে পারিনি। ডিআরএসের টেকনেশিয়ানরা যেসব ভেন্যুতে খেলা হচ্ছে সেখান থেকে আর আসতে চাচ্ছে না।’

দর্শক নিয়ে, ‘সরকারের বিধিনিষেধ পাওয়ার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রাথমিকভাবে কোনো দর্শক অনুমোদন করব না। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত পাল্টাতে পারি সরকারের সাথে আলাপ করে। তখন দুই ডোজ করোনা টিকা দেওয়া ছাড়া কেউ মাঠে ঢুকতে পারবেন না। যদি দর্শক অনুমোদন করি, তাহলে দুই ডোজ টিকার সনদ দেখে অনুমোদন দিব।’

ধারাভাষ্যকার প্রসঙ্গে, ‘কোভিডের কারণে এখানেও ছাড় দিতে হচ্ছে। ভারত থেকে একজন আসছে শুনেছি। এছাড়া আয়ারল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে থেকে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। স্থানীয়দের ওপরই আমাদের ভরসা রাখতে হচ্ছে।’

ভালো মানে বিদেশি আম্পায়ার, ‘এখনও নিশ্চিত নই। পাকিস্তানের আম্পায়ার পাওয়া যাচ্ছে না। ইংল্যান্ড থেকে কেউ এখন ফ্লাই করতে চাচ্ছেন না। শ্রীলঙ্কায় দেখছি। ভারতের সঙ্গেও আলাপ হচ্ছে।’

তবে আগামী মৌসুম থেকে বিপিএলের দৈন্যতা কেটে যাওয়ার আশা, ‘আমরা এই বছরের বিপিএল আয়োজনের পরপরই পরের বিপিএলের দল খুঁজব। একটা দীর্ঘ পরিকল্পনা করে গোছানোভাবে বিপিএল আয়োজন করব। আমরা আগেই জানিয়েছি, পাঁচ বছরের জন্য দল দেব। সুতরাং যারা আসবে তারাও পরিকল্পনা করে আসতে পারবে। ইভেন টিভি স্বত্ব, প্রোডাকশন, স্পন্সর যারাই আসবে তাদের সবকিছু আগে থেকে গোছানো থাকবে। ওই সময়টাই আন্তর্জাতিক মানের সবকিছুই থাকবে এবং সেরা আয়োজন হবে।’

এদিকে ছয় দলের টুর্নামেন্ট আগামী ২১ জানুয়ারি শুরুর সূচি থাকলেও এখনো বিদেশি ক্রিকেটাররা এসে পৌঁছাননি। মাত্র ৪ দিন বাকি থাকলেও স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে দলগত অনুশীলন শুরু করতে পারে ফ্রাঞ্চাইজিগুলো। 

টিআইএস/এটি/এনইউ