আশা ছিল এবার বুঝি ঘুরে দাঁড়াবে। অন্তত শেষের লড়াইটা করবেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে বোলারদের দারুণ বোলিংয়ে আশাও জেগেছিল কিছুটা। কিন্তু কীসের কী! পুরো অ্যাশেজের প্রতিচ্ছবিই দেখা গেল শেষ ম্যাচেও। 

রোববার হোবার্টে ৫ ম্যাচ সিরিজের শেষটিতে ১৪৬ রানে হেরে গেছে ইংল্যান্ড। আগেই অ্যাশেজ জিতে নেওয়া অস্ট্রেলিয়া সিরিজ নিজেদের করেছে ৪-০ ব্যবধানে। পুড়ে যাওয়ার গন্ধ নিয়ে দেশে ফিরে যাচ্ছে ইংল্যান্ড, অ্যাশেজটা নিজেদের ঘরে রেখে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

এমনিতে শেষ টেস্টে খুব বেশি পাওয়ার ছিল না। কেবল এক ম্যাচ জয়ের স্বস্তি নিয়ে দেশে ফেরার সুযোগ ছিল জো রুটদের সামনে। প্রথম ইনিংসে আগে ব্যাট করে ৩০৩ রান করে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। জবাব দিতে নেমে ইংল্যান্ড করতে পেরেছিল কেবল ১৮৮ রান। 

দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য অজিদের সংগ্রহটাও বাড়তে দেননি ইংল্যান্ড বোলাররা। নো বলের ভাগ্য বিড়ম্বনা ছিল। কিন্তু তবুও তাদের গুটিয়ে দিয়েছিল ১৫৫ রানে। ৩ উইকেটে ৩৭ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া। স্মিথ ১৭ ও বোল্যান্ড অপরাজিত ছিলেন ৩ রানে।

৩৩ বলে ৮ রান করা বোল্যান্ডকে ফিরিয়ে দিনের শুরুটা করেন মার্ক উড। ৬২ বলে ২৭ রানের বেশি করতে পারেননি স্মিথও। তবে অজিদের ইনিংসটা বড় হওয়ার কৃতিত্বটা পাবেন অ্যালেক্স ক্যারি। তিনি অবশ্য একবার আউট হয়েও বেঁচে গিয়েছিলেন নো বলের কল্যানে। 

৮৮ বলে ৪৯ রান করা তিনি পরে আউট হন ক্রিস ব্রডের বলে। ১৬ ওভার ৩ বল খেলে ২ মেডেনসহ ৩৭ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন মার্ক উড। ক্রিস ব্রড ৩ ও মার্ক উড নেন দুইটি উইকেট। ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৭১ রানের। 

জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল ইংল্যান্ড। উদ্বোধনী জুটিতে ৬৮ রান যোগ করেন জ্যাক ক্রলি ও ররি বার্নস। ৪৬ বলে ২৬ রান করে ক্যামরুন গ্রিনের বলে আউট হলে এই জুটি ভাঙে। ৬৬ বলে ৩৬ রান করে আউট হয়ে যান ক্রলিও। 

এরপরই যেন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ইংল্যান্ডের ইনিংস। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ হয়ে থাকে ক্রলির রান। প্যাট কামিন্স, স্কট বোল্যান্ড ও ক্যামরুন গ্রিন সবাই তিনটি করে উইকেট নেন। ম্যান অব দ্য ম্যাচ ও সিরিজ দুটিই হয়েছেন ট্রাভিস হেড। 

এমএইচ/এটি