মিরাজের কল্যাণে ব্যাটসম্যানদের দায়মুক্তি
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ৪৩০/১০ (মিরাজ ১০৩, ৫৯, সাকিব ৬৮, সাদমান ৫৯; ওয়ারিক্যান ৪/১৩৩, কর্নওয়াল ২/১১৪)
বিজ্ঞাপন
চট্টগ্রাম টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যাচের শুরুর দিনে বুধবার ব্যাট করতে নামে টাইগাররা। ৫ উইকেট হারিয়ে ২৪২ রানে শেষ করে প্রথম দিনের খেলা। পরে ক্যারিবীয় স্পিনার জোমেল ওয়ারিক্যান জানান, দ্বিতীয় দিনে সফরকারীদের লক্ষ্য থাকবে প্রতিপক্ষকে ৩০০ রানের মধ্যে আটকে দেওয়া। সেটি আর হতে দেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে পাহাড়সম রান জমা করেছেন স্কোরবোর্ডে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ওপেনার সাদমান ইসলামের অর্ধশতকের সঙ্গে অধিনায়ক মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিমদের ব্যাটে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৪২ রানে প্রথমদিনের খেলা শেষ করে টাইগাররা। বাংলাদেশের হয়ে সাকিব আল হাসান ৩৯ ও লিটন ৩৪ রানে অপরাজিত থেকে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেন।
বিজ্ঞাপন
তবে নিজের ইনিংসটিকে বড় করতে ব্যর্থ হন লিটন। আগের দিনের সফল বোলার জোমেল ওয়ারিক্যানের বলে বোল্ড হন ব্যক্তিগত ৩৮ রান করে। লিটন ব্যর্থ হলেও অর্ধশতক রানের কোটা পূরণ করতে ভুল করেননি সাকিব। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনে নিজের ২৫তম ফিফটি তুলে নেন তিনি।
এরপর ৬৮ রানে থাকা সাকিবকে নিজের প্রথম শিকার বানান রাকহিম কর্নওয়েল। ১৫০ বলের ইনিংসটি সাকিব সাজান ৫টি চারের মারে। সাকিবের আউটের পর দলের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নেন মিরাজ। ঠাণ্ডা মাথায় ক্ল্যাসিক ব্যাটিংয়ে উইন্ডিজ বোলারদের দেখেশুনে খেলতে থাকেন তিনি। ৯৯ বলে টেস্টে নিজের তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন মিরাজ। পরে ১৫৯ বল খেলে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেন তিনি। ১৩টি চারের মার আসে তার ব্যাট থেকে।
এর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে প্রথম শ্রেণি ও লিস্ট এ ক্রিকেটে কোনো শতক ছিল না মিরাজের। এবারই প্রথমবারের মতো পেলেন এই স্বাদ। তবে সেঞ্চুরির পর আর উইকেটে থাকতে পারেননি এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। রাকিম কর্নওয়ালের বলে আউট হয়ে ফিরেছে ১০৩ রান করে। মাঝে তাইজুল ইসমালের ১৮ ও নাঈম হাসানের ২৪ রানের কল্যাণে অল আউট হওয়ার আগে ৪৩০ রানের সংগ্রহ পায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। উইন্ডিজের হয়ে জোমেল ওয়ারিক্যান সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন।
টিআইএস/এনইউ/এটি