মালিক ‘রুশ’ হওয়ায় এবার প্রশ্ন উঠছে চেলসির মালিকানা নিয়েই
নিজের রুশ পরিচয়ের জন্য বেশ বিপাকেই পড়তে হচ্ছে চেলসির মালিক রোমান আব্রামোভিচকে। ইংল্যান্ডের মাটিতে পা রাখতে পারছেন না। এবার যুক্তরাজ্য সংসদে মন্ত্রীদের সামনেই বলা হলো, ‘দেশে কোনো ফুটবল ক্লাবের মালিকানা থাকা উচিত নয়’ আব্রামোভিচের।
হাউজ অফ কমন্সে লেবার পার্টির সংসদ সদস্য ক্রিস ব্রায়ান্ট সম্প্রতি সামনে এনেছেন বিষয়টি। সংসদের এক পর্যায়ে তিনি তুলে ধরেছেন ২০১৯ সালের কিছু নথি, যেখানে সামনে এসেছে আব্রামোভিচের ‘ক্ষতিকর কার্যকলাপ’ এর ফিরিস্তি।
বিজ্ঞাপন
বর্তমানে ৫৫ বছর বয়সী আব্রামোভিচ ২০০৩ সালে ক্লাবটির মালিকানা নিয়েছিলেন। এরপর থেকে দু’বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে তার দল। যার সর্বশেষটা এসেছে গেল বছর। এরপর কিছু দিন আগে ক্লাব বিশ্বকাপও জিতেছে তার দল।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, যুক্তরাজ্য ৫টি রুশ ব্যাংক ও তিনটি গোষ্ঠীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে। কিন্তু সেই তালিকায় আব্রামোভিচের নাম ছিল না।
বিজ্ঞাপন
ক্রেমলিনের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক নিয়ে বেশ ক’বারই অভিযোগ ধেয়ে গিয়েছে চেলসির মালিক আব্রামোভিচের দিকে। তবে সেসব অভিযোগ প্রতিবারই প্রবলভাবে নাকচ করেছেন রুশ এই ধনকুবের। এমনকি বেশ কয়েকবার জানিয়েছেন, শাস্তি পাওয়ার মতো কোনো অপরাধই করেননি তিনি।
ক্রিস ব্রায়ান্ট তার তুলে ধরা নথি সম্পর্কে দাবি করেন, সেটা ২০১৯ সালের ফাঁস হওয়া এক গোপন নথি, যার সঙ্গে আব্রামোভিচের সম্পর্ক রয়েছে। সেখানে বলা হয় যে, যুক্তরাজ্যের লক্ষ্য হচ্ছে রাশিয়ার অবৈধ অর্থ ও ক্ষতিকর কার্যকলাপ খুঁজে বের করা। তারই অংশ হিসেবে আব্রামোভিচের ওপরও নজর আছে তাদের। কারণ, রাশান রাষ্ট্রযন্ত্রের সঙ্গে তার সম্পর্ক আছে, আর বিভিন্ন দুর্নীতিগ্রস্ত কার্যকলাপেও হাত আছে তার।
২০১৯ সালের সেই নথিতে আরও বলা হয় যে, যুক্তরাজ্য অবৈধ অর্থ ও ক্ষতিকর কার্যকলাপের সঙ্গে তার যোগসূত্রের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার বিষয়ে মনোযোগ দিয়েছে। যা প্রমাণিত হলে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখাই দুষ্কর হয়ে যাবে তার।
সেই নথির বিষয়ে ব্রায়ান্ট জানান, তিন বছর পেরিয়ে গেলেও বিশেষ কিছুই করা হয়নি তার বিষয়ে। এরপরই আব্রামোভিচের চেলসির মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, ‘নিশ্চিতভাবেই আব্রামোভিচ সাহেবের এই দেশে কোনো ক্লাবের মালিকানা থাকা উচিত নয়। আমাদের কি তার কিছু সম্পদ, যেমন তার ১৫.২ কোটি পাউন্ড দামী বাড়ি দখল করা উচিত নয়? অন্য যারা প্রথম শ্রেণির ভিসা নিয়ে এখানে আছেন, তারাও এমন কোনো ক্ষতিকর কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত নন, এ বিষয়েও কি নিশ্চিত হওয়া উচিত নয়?’
এনইউ