প্রথমার্ধে মলিন থাকলো দুই দলই। দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ এক গোল করলেন লাউতারো মার্টিনেজ। সম্ভাবনা জাগল নাটকীয়তার। কিন্তু অ্যালেক্সিস সানচেজের লাল কার্ডে সেটাও শেষ হয়ে গেল। শেষ পর্যন্ত লিভারপুলের মাঠে ১-০ গোলের জয় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো ইন্টার মিলানকে। দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শেষ আটে চলে গেছে ইয়্যুর্গেন ক্লপের দল। 

গত মাসে রবার্তো ফিরমিনো ও মোহাম্মদ সালাহের গোলে জয় পায় লিভারপুল। এই লেগের শুরুতেও দুই দলের ফুটবলাররা ছিলেন বিবর্ণ। স্বাগতিকরা  কয়েকটি আক্রমণ করলেও সেসব আটকে গেছে পোস্ট ও ক্রসবারে লেগে। 

এর মধ্যেই ৬০ মিনিটে অ্যালেক্সিস সানজেচের কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া জোরালো শটে গোল করেন মার্টিনেজ। এই গোলের ১০৭ সেকেন্ড পর দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে লাল কার্ড পান সানচেজ। শেষ অবধি ওই ১ গোলের জয় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ইন্টারকে। 

এদিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রাতের আরেক ম্যাচে গোলবন্যা বইয়ে দিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। সালসবুর্গের বিপক্ষে আগের লেগে কোনো রকমে জেতা দলটি ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় এবারের ম্যাচটি জিতেছে ৭-১ এর বড় ব্যবধানে। ১১ মিনিটের ঝলকে হ্যাটট্রিক করেছেন লেভান্ডভস্কি।

১২তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে প্রথম গোল পান লেভান্ডভস্কি। ২১তম মিনিটে আরেকটি স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। দুবারই তিনি নিজে প্রতিপক্ষের বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় বায়ার্ন।

দ্বিতীয় গোলের দুই মিনিট পরই হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। মাঝমাঠ থেকে মুলারের লম্বা পাস ক্লিয়ার করতে বক্সের বাইরে বেরিয়ে আসেন সফরকারী গোলরক্ষক। তার শটে বল লেভান্ডভস্কির পায়ে লেগে পোষ্টে লাগে। ছুটে গিয়ে ফাঁকা জালে বল পাঠান পোলিশ তারকা।

লেভার হ্যাটট্রিকের পর প্রথমার্ধেই ব্যবধান বাড়ান সার্জিও গেনেব্রি। বিরতির পর জোড়া গোল করেন টমাস মুলার। শেষ দিকে জালের দেখা পান লেরয় সানে। বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বায়ার্ন মিউনিখ। 

এমএইচ